চিরন্তন ব্যানার্জি:-
সোমবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের চার জন স্বেচ্ছাসেবক হাওড়া স্টেশনে খাবার দিচ্ছিলেন, তারপর থেকেই তাঁরা নিখোঁজ। বিষয়টি জানিয়ে মঙ্গলবার সকালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী, পাশাপাশি তিনি সমাজমাধ্যমেও পোষ্ট করেন। তারপরেই পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানায় ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। তারই মধ্যে এদিন সকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে অভিযোগ করেন, হাওড়া স্টেশনে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন চার ছাত্র। তাঁদের নাম শুভজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পণ্ডিত, গৌতম সেনাপতি ও প্রীতম সরকার। রাতে হাওড়া স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবকদের খাবার বিলি করছিলেন তাঁরা। মাঝরাতে আচমকাই তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান।
এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। তার আগে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানাতেও অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি।
বিরোধী দলনেতা হাইকোর্টে যাওয়ার কিছু পরেই পুলিশের তরফে সমাজমাধ্যমে পোষ্ট করে জানানো হয়, নবান্ন অভিযানে ‘লাশ ফেলে দেওয়ার ছক’-এ জড়িত থাকার কারণে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ এও জানিয়েছে, “গত রাত থেকে চার জন পড়ুয়া নিখোঁজ, এই মর্মে এক রাজনৈতিক নেতা টুইট করে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। সত্যিটা হল, কেউ নিখোঁজ নন। ওই চার জন আজকের নবান্ন অভিযানে ব্যাপক হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে আমাদের কাছে নির্দিষ্ট ও অকাট্য তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। খুন ও খুনের চেষ্টার চক্রান্ত করছিলেন ওঁরা। শান্তি রক্ষার স্বার্থে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে ওঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।” ধৃত চার জনের পরিবারের সদস্যদেরও তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
উল্লেখ্য, এর আগে পরিবারের আইনজীবী কৌস্তভ হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় একটি অভিযোগপত্রও পাঠান ইমেল মারফত। সেখানে তাঁর অভিযোগ ছিল, সোমবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ চার জনকে অপহরণ করেছে দুষ্কৃতীরা। এ সবের মধ্যেই এ বার রাজ্য পুলিশ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা কেউ নিখোঁজ নন। চার জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
Be the first to comment