অতি শক্তিশালী নয়, সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে বদলে যাচ্ছে ‘অশনি’। ঘণ্টায় গতিবেগ কমছে অন্তত ৬ কিলোমিটার হারে। এমনটাই জানাল আবহাওয়া দপ্তর। ফলে তার দাপট ততটা আর থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছেই। মঙ্গলবার সকালে হাওয়া অফিসের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতাও ভিজবে বৃষ্টিতে। বিপর্যয় মোকাবিলায় সবরকমভাবে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। কলকাতা পুরসভার তরফে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ১০ থেকে ১৩ মে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনার, হাওড়া, কলকাতায় মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ১২ তারিখ পর্যন্ত নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে। উপকূলের জেলা কাঁকিনাড়ার কাছাকাছি এই মুহূর্তে ‘অশনি’র অবস্থান। যার প্রভাবে ইতিমধ্যেই অন্ধ্রে ফুঁসছে সমুদ্র। শ্রীকাকুলাম, বিজয়নগরম, বিশাখাপত্তনমে বৃষ্টি চলছে। দুর্যোগ এড়াতে হায়দরাবাদ থেকে ১০টি বিমান বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, ‘অশনি’র প্রভাব পড়েছে বঙ্গেও। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায় সকাল থেকে মেঘ ও রোদের লুকোচুরি। কয়েকঘণ্টার মধ্য়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বিকেল থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টি। বড় বিপদ এড়াতে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া পুরসভাতেও তৎপরতা তুঙ্গে। আগামী ৩ দিন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। হাওড়া ও কলকাতা – দুই পুরসভাতেই খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
গঙ্গার জলতলের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। বৃষ্টির সময়ে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানি এড়াতে বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হতে পারে। কলকাতা পুর এলাকায় বিপদ এড়াতে প্রতিটি বরোর দায়িত্বে রয়েছেন একজন করে মেয়র পারিষদ। অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নদীবাঁধগুলিতেও নজরদারি বাড়িয়েছে সেচ দপ্তর। ত্রাণশিবিরগুলি প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি মজুত করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে শুকনো খাবার, ত্রিপলও।
Be the first to comment