ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, চলবে ঝোড়ো হাওয়াও

Spread the love

তীব্র দাবদাহ থেকে অবশেষে স্বস্তি মিলতে চলেছে। আসানসোল-দুর্গাপুর সহ সমগ্র পশ্চিম বর্ধমানে ধেয়ে আসছে বৃষ্টি। সোমবার বিকালে এমনই পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। একেবারে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে খনি-শিল্পাঞ্চলে।

তবে শুধু আসানসোল, দুর্গাপুর বা পশ্চিম বর্ধমান জেলা নয়, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া সহ পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। সেই সময় লোকজনকে বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এদিন সকালে আসানসোলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়নি। একই আবহাওয়া দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্যাচপ্যাচে গরম রয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুরে গত কয়েকদিনে একফোঁটা বৃষ্টি না হলেও পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এদিনও ফের হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। খনি-শিল্পাঞ্চলেও আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং সঙ্গে ৪০ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই সময় খনি-শিল্পাঞ্চলের লোকেদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও দুই ২৪ পরগনায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস।

অন্যদিকে, এবছর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বর্ষা বঙ্গে ঢুকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করবে। যার জেরে আগামী ৫ দিন আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরই বঙ্গে সম্পূর্ণভাবে প্রবেশ করবে জলীয়বাষ্প পূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। ফলে বলাই যায়, বর্ষা আসন্ন। অন্যান্য বছর সাধারণত ৭ জুন থেকে ১০ জুনের মধ্যে বর্ষা বঙ্গে প্রবেশ করে। তবে এবছর যেমন গরম পড়েছিল, তেমনই বর্ষাও ভালোই হবে বলে মনে করছেন আবহ বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আগাম আগমনও সেই বার্তাই বহন করছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*