করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাসছে গোটা ভারত। লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে গ্রামে গ্রামে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় বাড়তি নজরদারি শুরু করল কেন্দ্র। গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় উন্নতি ঘটিয়ে মহামারীতে ইতি টানতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই শহরতলি ও গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নতিতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র।
নির্দেশিকায় গ্রামের স্বচ্ছতা কমিটির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আশা কর্মীদের নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় কোনও লক্ষণের হদিশ পেলেই পর্যায়ক্রমে আশা কর্মীদের ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের গ্রামীণ পরিকাঠামোয় টেলিকনসাল্টেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
শুধুমাত্র কো-মর্বিডিটিযুক্তদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রত্যেক গ্রামে যাতে যথা সংখ্যক পালস অক্সিমিটার থাকে, সেদিকে নজর দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে থাকলে, তাঁর কাছে প্যারাসিটামল, আইভারমেক্টিন, কাফসিরাপ, মাল্টিভিটামিন পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। লাগাতার ৩ দিন জ্বর না থাকলে হোম আইসোলেশনে থাকা কোনও করোনা আক্রান্ত ১০ দিনের পরই আইসোলেশন থেকে বেরতে পারেন বলে নির্দেশিকায় জানিয়েছে কেন্দ্র। আর হোম আইসোলেশনের পর করোনা আক্রান্তকে পরীক্ষাও করাতে হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
Be the first to comment