আর্যতীর্থঃ
ছেঁড়া ছেঁড়া কথা গুলো বহুদিন হলো আর গান হয়না।
মাঝপথে থামা সংলাপ, সুতোহীন ঘুড়ি হয়ে ভেসে চলে যায়, খেই ভুলে যাওয়া মনে অনুকূল বায়ু বুঝি আর বয় না।
সম্পর্কে লেগেছে নাকি রক্তাল্পতা রোগ, ভীষণ ফ্যাকাসে।
সময় গিয়েছে বুনে এতদিন জোড়া সুতো কারুকাজ নক্সীকাঁথায়,
এখন সুতলি ধরে চুপিচুপি কেঁদে যায় একা সে।
স্মৃতির দেরাজে ধুলো, আবছা অতীতে ঢাকা জোয়ারযাপন।
আমাদের সাথে আর কোনো চাঁদ মাখোমাখো রাত জাগেনা।
নিরালাতে ঠোঁট জিভ উথলিয়ে ভাসায়না কোনো প্রলোভন।
অথচ বাইরে থেকে সব কিছু চলে যেন আহ্নিক মেনে।
প্রভাতী চায়ের কাপে, খাবারে বালিশে কোনো দাগ লাগেনা।
পৃথিবী নিশ্চিন্তে বয় সবকিছু অবিকল এক আছে জেনে।
তবু নিয়ে আসি ফুল, মরসুম অনযায়ী মল্লিকা টগর গোলাপ
সুভগা বিকেল খুঁজে মিঁয়া মল্লার গান ভীমসেন যোশী,
সাবেকী বাইফোকালে কখনো ঝিলিক মারে চেনা উত্তাপ।
আসলে নিঃশব্দে পায়ে বাকি চরিত্রগুলো মঞ্চটা করেছে দখল।
সংসারী দুর্ভোগ, জীবনের অনুযোগ নিত্য সামলিয়ে যাই দুই আপোসী।
যাপনের ক্লান্তিতে পরস্পরের হই আশ্রয় কেবল।
Be the first to comment