একদিকে ক্রমশই গোটা আফগানিস্তান দখলের পথে এগোচ্ছে তালবানিরা। তার মধ্যেই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। জল্পনা বাড়ছিল তাঁর পদত্যাগ নিয়ে। অবশেষে মুখ খুললেন আশরফ ঘানি। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের সেনাবল বাড়ানো এবং নতুন করে ঢেলে সাজানোর উপর জোর দিতে হবে। দেশের অস্থিরতা আটকাতে সবরকম প্রচেষ্টা নেওয়া হবে।’
আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৮টির দখল নিয়েছে তালিবানরা। এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে আশরফ ঘানি বলেন, ‘দেশের সেনাকে শক্তিশালী করে তোলাই এখন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। তবে দেশের মানুষকে বাঁচাতে তাঁরা সক্ষম হবে।’ দেশবাসীকে আশ্বাসের সুরে তিনি বলেন, ‘সকলের সঙ্গেই আমরা আলোচনা চালাচ্ছি। প্রশাসনিক আলোচনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরেও কথাবার্তা চলছে। খুব দ্রুতই দেশের মানুষের কাছে সমস্তটা পরিষ্কার করা হবে।’
আশরফ ঘানি শনিবার আরও বলেন, ‘আমি উপলব্ধি করতে পারছি আপনারা কতটা উদ্বিগ্ন। আপনাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আশ্বাস দিচ্ছি দেশে স্থিরতা বজায় রাখার সবরকম চেষ্টা করব। হিংসা ও হানাহানি রুখতে আমরা সচেষ্ট।’ দেশের মানুষকে সবরকমভাবে রক্ষা করার আশ্বাস দেন প্রেসিডেন্ট। এদিন তাঁর ভাষণের আগেই তিন হাজার মার্কিন সেনা এসে পৌঁছয় কাবুলের হামিদ কাজারি বিমানবন্দরে।
প্রসঙ্গত, কাবুল দখল এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা। অভূতপূর্ব তালিবানি অভ্যুত্থানের মুখে আফগানিস্তান। দ্রুত গতিতে একের পর এক শহর দখল করে কাবুলের পথে কট্টরপন্থী সংস্থা। ক্ষমতা বাড়িয়ে হৃত সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারের পথে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দা। আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের বক্তব্য, ফের কয়েক দশক পিছিয়ে গেল আফগানিস্তান।
Be the first to comment