বন্যা কবলিত অসমে প্রতিদিনই বাড়ছে দুর্ভোগ। জমা জলে ডুবে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হলে অসমে। এই নিয়ে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২৭। বরপেটা, কাছার, দারাং, করিমগঞ্জ ও মরিগাঁওয়ে বন্যার জমা জলে ডুবে মারা গিয়েছেন পাঁচ জন। যাদের মধ্যে চারজনই শিশু।
অসমের ২৮টি জেলায় প্রায় ২২ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এই মুহূর্তে ৫৬৪টি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৪১৩ জন। সরকারি সূত্রে খবর, বন্যা পরিস্থিতিতে রাজ্যে ৭৪ হাজার ৭০৬ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। অসমের দুর্গত জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বরপেটা। সেখানে প্রায় সাত লক্ষ মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। নগাঁওয়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন। কাছারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দুই লক্ষেরও বেশি মানুষ।
অসমের শিলচর শহরের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। বেশ কিছু এলাকা জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে। ওই শহরের প্রায় ২ লাখ মানুষ খাদ্য, পানীয় জল এবং প্রয়োজনীয় জিনিস পাচ্ছেন না।
গুয়াহাটি, শিলচর-সহ ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩০টি জেলাই রয়েছে জলের তলায়। কোনও কোনও এলাকায় পৌঁছচ্ছে না ত্রাণসামগ্রী। পানীয় জল, খাবার, ওষুধ না পেয়ে ক্রমশই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। একাধিক জায়গায় জলের উপর ভেসে যাচ্ছে মৃতদেহ। দুর্দিনে পরিজনের শেষকৃত্য না করতে পেরে ‘বাধ্য হয়েই’ পরিজনকে এই ভাবেই বিদায় জানাতে হচ্ছে বন্যাদুর্গতদের।
শনিবারই বন্যা পরিস্থিতি জানতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় সেনা, দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
Be the first to comment