উত্তর-পূর্বের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে। অসম এবং মেঘালয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। অসমে এ পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে, মেঘালয়ে ৪২। এবং প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ বন্যা দুর্গত। বিধ্বংসী বন্যার কবলে পড়েছে অসম। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যের ৩৩টি জেলার মধ্যে ৩২টিই এখন বন্যাপ্লাবিত। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় রাজ্যের ৩২টি জেলায় অন্তত ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৪,০০০ এরও বেশি গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন। পাঁচটি বড় নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। অসমের জলসম্পদ মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। প্রশাসন মানুষকে সাহায্য করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে, বন্যাকবলিত জেলাগুলিতে মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হচ্ছে।
শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বিপর্যয় কবলিত এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অসমে চলতি সপ্তাহে ভূমিধস ও হড়পা বানে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেশী মেঘালয়ে কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভূমিধসের কারণে দু’টি প্রধান জাতীয় মহাসড়ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির সোহরা অঞ্চলে শুক্রবার তৃতীয়বার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এই সপ্তাহে রাজ্যে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করেছেন।
এ দিকে শুক্রবার থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ত্রিপুরায় ১০,০০০-এরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন, তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। ভূমিধসের কারণে রাজ্যের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সরবরাহ পাঠানোর জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে। সিকিমেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
Be the first to comment