পছন্দের জায়গায় বিশ্বকর্মা পুজো করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগে টালিগঞ্জ-বেহালা রুটে বন্ধ হয়ে গেল অটো পরিষেবা। পাশাপাশি রবীন্দ্র সরোবর-বেহালা রুটের অটো পরিষেবাও বন্ধ রেখেছেন অটো চালকরা।
বুধবার সকালে নিত্যযাত্রীরা গিয়ে দেখেন টালিগঞ্জ-বেহালা অটো স্ট্যান্ডে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অটো। চালকরা আশেপাশে জটলা করছেন। কিন্তু অটো চলছে না। কী কারণে অটো পরিষেবা বন্ধ তা প্রথমে বুঝতে পারেননি যাত্রীরা। বেলা কিছুটা বাড়লেই পুরোটা পরিষ্কার হয়ে যায়।
অটো স্ট্যান্ড লাগোয়া যেখানে অটো চালকরা প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পুজো করেন, সেখানে মাস কয়েক আগে একটা বিরিয়ানির দোকান হয়েছে। আর এই বিরিয়ানির দোকান হওয়াতেই তাঁদের পুজোর জায়গা দখল হয়ে গিয়েছে। সেই প্রতিবাদেই তাঁরা অটো পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে এই পুজোয় সামিল হন রবীন্দ্র সরোবর-বেহালা রুটের অটো চালকরাও। তাই তাঁরাও নিজেদের অটো পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন।
টালিগঞ্জ-বেহালা অটো ইউনিয়নের এক নেতার বক্তব্য, ” আমরা ৩৫ বছর ধরে এখানে বিশ্বকর্মা পুজো করে আসছি। কিন্তু মাসখানেক আগে তৈরি হওয়া এই দোকান আমাদের এ বার পুজো করতে বাধা দিচ্ছে। আমরা টালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছি। বলেছি দোকানটাকে দিন কয়েকের জন্য সরিয়ে দিতে। কিন্তু পুলিশ আমাদের কথার কোনও গুরুত্ব দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা অটো পরিষেবা বন্ধ রেখেছি। যতদিন না আমাদের দাবি মানা হবে, অটো পরিষেবা বন্ধ থাকবে।”
এমনিতেই মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ায় বেহালার বাসিন্দাদের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে। এই সময় অটো ছিল তাঁদের অন্যতম ভরসা। কিন্তু এ দিন সেই অটো পরিষেবা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। এই প্রসঙ্গে ওই নেতার বক্তব্য, ” আমরা বছরে ৩৬৫ দিন অটো চালাই। একটা দিন বিশ্বকর্মা পুজোয় আমরা আনন্দ করি। এটা আমাদের অধিকার। যে মুহূর্তে পুলিশ ওই দোকান সরিয়ে আমাদের পুজো করার জায়গা ঠিক করে দেবে, সেই মুহূর্ত থেকে আবার পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে একটাও অটো চলবে না।”
Be the first to comment