পিয়ালি আচার্যঃ সবং-এর চাঁদকুঁড়ি মাঠে শীতের বিকেলে উপনির্বাচনের প্রচার জমে উঠলো। অবশ্যই সভার মধ্যমণি তরুন তুর্কী তৃণমূল যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু উপস্থিতিতে নয়, শুধু পদের ভারে নয়, চোখা বক্তব্যে গীতারাণী ভূঞ্যাকে শুধু যে জিতিয়ে দিলেন তাই নয় নাম না করে মুকুল রায়ের উদ্দেশ্যে করলেন তীব্র আক্রমণ। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জী মুকুল রায়ের নাম দিয়েছেন চাটনি দাদু। অভিষেক সেই কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি দাদু হয়েই থাকুন। যখন মানস ভূঞ্যা কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন তখন চাটনি দাদুতো খবরের কাগজে ছবি তোলার লোভে পার্থ চ্যাটার্জী ও অভিষেক ব্যানার্জীর পাশে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। আর এখন বলছেন মানস ভূঞ্যাকে বেইমান। তখন দল ছাড়েননি কেন? মুকুল রায়ের নাম না করে অভিষেক বলেন, তিনি শুধু বেনোজল নন তার নেতৃত্বে বেনোজল দলে ঢুকেছিল। তাই আমরা তাকে দল থেকে বের করে দিয়েছি।
বক্তৃতার ছত্রে ছত্রে মুকুলের বিরুদ্ধে আক্রমণের পারদ ছড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই তরুণ এই সাংসদ। শুধু মুকুল রায়ই নয় বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অভিষেক। বলেছেন, সিপিএমের সময় ছিল হাত কাটা দিলীপ আর এখন হয়েছে জিভ কাটা দিলীপ। আগে যারা সিপিএম করতেন তারাই এখন বিজেপি করছেন। বিজেপি সবং-এর উপনির্বাচনে চতুর্থ বা পঞ্চম স্থান দখল করবে। এই বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএম সব বিরোধী শক্তি হাত মিলিয়েছেন। এদেরকে গণতান্ত্রিকভাবে চড় মারুন। দিল্লী থেকে বিজেপি কয়েকটা ইঁদুর পাঠিয়েছে। কিন্তু মমতা ব্যানার্জীর রাজ্য বাঘের সাম্রাজ্য। এখানে ইঁদুর নিয়ে বিপ্লব হয় না। আবারও মুকুল প্রসঙ্গে ফিরে গিয়ে অভিষেক বলেন, বড় নেতা যদি হবেন তো কোথাও জিতে দেখাতে পারেননি কেন? সবং-এ দাঁড়াতে পারতেন তো? চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, লোকসভা বা ২৯৪টি বিধানসভা তো দূর অস্ত ৪৮০০০টি গ্রাম পঞ্চায়েত বা ১০০০০ পঞ্চায়েত সমিতির কোথাও জিতে আসার ক্ষমতা নেই মুকুল রায়ের। নাম না করে তিনি বলেন, উনি জিতে আসলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। নেতা কেউ বানায় না। নেতা মানুষ বানায়।
চিত্রগ্রাহকঃ প্রশান্ত দাস
Be the first to comment