দু’দিন আগেই বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে ‘বাবাকে বলো’ কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলেছিলেন নৈহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তাতে অধিবেশন কক্ষের অন্দরে হাসির রোল উঠলেও বাইরে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এই ঘটনার পর থেকেই কাঁথির প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারীর ছবি ও ফোন নম্বর দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বাবাকে বলো’ নিয়ে মিম ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু কেন এমন উদ্যোগ? সূত্রের খবর, সম্প্রতি মুকুল রায়ের উপর দলত্যাগ আইন কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে আগে বাড়ি থেকেই তাঁকে কাজটি শুরু করতে পরামর্শ দেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা। অমিত শাহের সভায় গিয়ে শিশির অধিকারী যোগ দিলেও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ পদ ছাড়েননি। তা নিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেও সাংসদ পদ ছাড়েননি শান্তিকুঞ্জের প্রবীণ সদস্য। সুতরাং আগে বাবাকে বলো তারপর আমাদের বলো এই বার্তাই দিতে চাওয়া হয়েছিল। সেটাই এখন ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে শিশির অধিকারীর ছবি–ফোন নম্বর দিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে ‘বাবাকে বলো’। আর তাতে চরম বিব্রত হয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশিরবাবুর ছেলে তথা তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর অভিযোগ, তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর ছবি দিয়ে ফেসবুকে ‘বাবাকে বলো’ লেখা একটি লোগো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এমনকী সেখানে শিশিরবাবুর মোবাইল নম্বরও দেওয়া রয়েছে ৷ তার জেরে অনেকেই প্রবীণ সাংসদকে ফোন করছেন সুতরাং ফোন করে কাঁথির সাংসদকে বিরক্ত করাহচ্ছে৷ তাতে এই বয়সে মানসিক উদ্বেগ এবং যন্ত্রণার শিকার হচ্ছেন বলেও চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে ৷
কিন্তু কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ? যদি এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ করে থাকে তাহলে শিশির–দিব্যেন্দু দু’জনেই এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। সেটা কী করে সম্ভব? তবে ফেসবুকে এই লোগো ছড়িয়ে দেওয়ায় মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী ৷ সেখানে সন্ধ্যা ধাউ, প্রশান্ত কাডু বসু, অরিজিৎ নন্দী, শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দন জানার নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৷ অবিলম্বে ফেসবুক থেকে ওই লোগো সরিয়ে নেওয়ার দাবি করা হয়েছে। যারা এই লোগো ফেসবুক ছড়িয়ে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী ৷
Be the first to comment