প্রকাশ্য রাস্তায় বাবুল এবং অভিজিতের সংঘাত ঘিরে সরগরম রাজ্যের রাজনীতি

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, গাড়ির গতি নিয়ে শুক্রবার রাতে প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে বচসা চলে দুই নেতার। গাড়ি নিয়ে হাওড়ায় বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন বাবুল। অভিজিতের গাড়িও কলকাতা থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল। সেইসময় তাঁদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।

বাবুলের দাবি, তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন। সেই সময় পিছন থেকে হুটার বাজিয়ে প্রচণ্ড গতিতে একটি গাড়ি আসছিল। সেটি বাবুলের গাড়িকে অতিক্রম করে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাবুল সেই সময় মুখ বার করে অপর গাড়ির চালককে ঠিকভাবে গাড়ি চালানোর কথা বলেন। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, তিনি দ্বিতীয় গাড়ির চালককে বলেন, ‘এ ভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন? আপনি তো লোককে মেরে দেবেন! আমার গাড়ির সঙ্গে ঠেকে গেলে তো দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। সেই সময় দ্বিতীয় গাড়ির পিছন থেকে কেউ এক জন ‘চালা দে, চালা দে’ বলে ওঠেন। অর্থাৎ, গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।’ এরপর দ্বিতীয় গাড়িটি কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর সেটিকে আবার থামান বাবুল। তাঁর দাবি, সেই সময় গাড়ির পিছনের আসনে বসে ছিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ। বাবুল জানান, তিনি সাংসদকে দেখতে পেয়ে গাড়ির পিছনের দিকে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। গাড়ির চালককে সঠিকভাবে চালানোর কথা বলতে অনুরোধ করেন। বাবুলের দাবি, সেই সময় সাংসদ তাঁকে বলেন, ‘যা করেছে বেশ করেছে!’ তাঁকে গালিগালাজও করা হয় বলে দাবি বাবুলের। ততক্ষণে দুই নেতার বচসা শুরু হয়। স্থানীয়দের দাবি, বাবুল সাংসদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন। সাংসদ তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া তো দূর, বরং পুনরায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। বাবুলকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এনিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বেপরোয়া গতি থাকলে পুলিশ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করত। তাঁর দাবি, গাড়ির সামনে ‘এমপি তমলুক’ লেখাটি দেখতে পান বাবুল। সেটি দেখেই বাবুল নিজের গাড়িকে জোরে চালিয়ে তাঁর গাড়ির সামনে এনে দাঁড় করান। বাবুলই সাংসদের গাড়ির সামনে গালিগালাজ শুরু করেন বলে দাবি বিজেপি সাংসদের। ঘটনায় অভিজিৎ আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*