বাবুলের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিস্ফোরক বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি রাজ্যপালের বিরুদ্ধেই বিভাজন সৃষ্টির অভিযোগ করলেন তিনি ৷ তাঁর অভিযোগ, অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ তবে, তাঁদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা যাবে না বলেও স্পষ্ট করে দেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এ দিন বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বিধায়ক পদে বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করান উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শপথ অনুষ্ঠানের পর তিনি রাজ্যপালকে নিশানা করে বলেন, রাজভবন থেকে যতই চেষ্টা করুক, আমরা একই আছি ৷ নাম না করলেও রাজভবনের কথা উল্লেখ করেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে আক্রমণ শানালেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ৷ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ বাক্য পাঠ করাতে অস্বীকার করলেও, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধকে তিনি ফেলতে পারেননি ৷
ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, যেভাবে রাজভবন থেকে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে ৷ তা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না আশিসবাবু ৷ তবে, যেহেতু বাবুল সুপ্রিয়র শপথগ্রহণ সম্পন্ন না হলে বিধায়ক হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারছিলেন না ৷ সেই কারণেই অধ্যক্ষের অনুরোধে নিজের দায়িত্ব পালন করলেন তিনি ৷
প্রসঙ্গত, বাবুল সুপ্রিয়র শপথ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি ৷ এই শপথগ্রহণের ফাইলে রাজ্যপালের সই করা নিয়ে, রাজভবন এবং বিধানসভার সংঘাত প্রকাশ্যে চলে এসেছিল ৷ গত ১৬ এপ্রিল ভোটের ফল ঘোষণা হলেও রাজ্যপাল অধ্যক্ষকে এড়িয়ে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করতে চাওয়ায় সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছিল ৷ এক্ষেত্রে আগেও উপাধ্যক্ষ অধ্যক্ষকে এড়িয়ে বাবুল সুপ্রিয়র শপথ পাঠ করাতে চাননি ৷ তিনি সেই সময় বলেছিলেন এমনটা করলে অধ্যক্ষকে অপমান করা হবে ৷ আর আজ যখন অধ্যক্ষকে ছাড়াই বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে অধ্যক্ষ পদের অবমাননা ও রাজভবনের বিরুদ্ধে বিভাজন-নীতির অভিযোগে সরব হলেন এই শিক্ষক রাজনীতিক ৷
Be the first to comment