‘মন্তব্য়ের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।’ দলের অন্দরে শোরগোলের পর কার্যত সাফাই দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল সুপ্রিয়র দাবি, ‘দীর্ঘ ৭ বছর মন্ত্রী থাকার সময়ও এত মেসেজ পাইনি, ১ দিনে যে পরিমাণ সমবেদনার মেসেজ পেলাম।’
প্রসঙ্গত মন্ত্রিসভা থেকে নাম বাদ যাওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিমান প্রকাশ করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এদিকে সেকথা জেনে পালটা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছিলেন ‘ওনাকে তাড়িয়ে দিলে ভালো হত? ১২জন মন্ত্রী পদত্য়াগ করেছেন। কেউ এমন লেখেননি।’
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনীতিতে আসার পর থেকেই বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে বার বার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝালমুড়ি খাওয়ার ঘটনা তো কার্যত মিথ হয়ে গিয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা না পাওয়ার পরই সোশ্য়াল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন তিনি।
তাঁর দাবি ছিল, ‘ধোঁয়া উঠলে কোথাও তো আগুন লেগেছে। বন্ধু, অনুরাগী, সংবাদমাধ্যমের কাছে জানাতে চাই, আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। আমি সেটাই করেছি।’ পাশাপাশি একদিকে মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অন্যদিকে মন্ত্রীত্বে থাকাকালীন তাঁর গায়ে কোনও দুর্নীতির দাগ না লাগা নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তবে এর পরই দলের অন্দরে নানা কথা উঠতে শুরু করে। তবে বাবুল সুপ্রিয়র অভিমানে রেশ কতদূর গড়ায় তা নিয়েও নানা কথা উঠতে শুরু করেছে।
Be the first to comment