মন্ত্রিত্ব ত্যাগের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। যা রাজনৈতিক বিশ্লেকদের একাংশ বাবুল সুপ্রিয়র ‘অসন্তোষ’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। তবে বাবুল সেই দাবি উড়িয়েছিলেন। তবে আসানসোলের সাংসদের সোশ্যাল মিডিয়া গতিবিধির উপর নজর রেখে চলেছেন সবাই। এই আবহেই লক্ষ্য করা গেল ট্যুইটারে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসকে ফলো করা শুরু করলেন বাবুল সুপ্রিয়। এই বিষয়ে মুখ খোলেননি বাবুল সুপ্রিয়।
তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট নিয়ে মুখ খুলেছেন বাবুল। তাঁর বক্তব্য, বরাবরই লেখালিখি করতে ভালবাসেন তিনি। আর এর জন্যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে বেছে নেন তিনি। বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে আলোচনা শুরু হয় গত বুধবার থেকে। ওই দিন মোদী মন্ত্রিসভার রদবদল হয়। বাড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গে থেকে চারজন সাংসদ নতুন করে রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একইসঙ্গে রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ হাতছাড়া হয় বাবুলের। সব মিলিয়ে পুরনো ১২ জনকে ছেঁটে ফেলা হয় মোদী মন্ত্রিসভা থেকে।
এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন বাবুল। জানান, তাঁকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। বাবুলের এই পোস্টে বেজায় চটে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়াও দেন তিনি। দিলীপের বক্তব্য ছিল, ১২ জনকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। অথচ বাবুল ছাড়া আর কেউ এ নিয়ে এই ধরনের কোনও পোস্ট করেননি। দিলীপবাবু বলেন, ‘স্যাক করলে কি ভালো হত?’
এরপরই গোটা বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় চাপানউতোর। সোশ্যাল মিডিয়কেকে কাজে লাগিয়ে সরাসরি দিলীপ ঘোষকে নিশানা করেন বাবুল স্বয়ং। এই প্রসঙ্গে একটি খবরের লিংক শেয়ার করেন বাবুল। সেই খবরের শিরোনামে দাবি করা হয়েছে, দিলীপ নাকি বলেছেন, ‘…বাবুল হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন’। পাল্টা বাবুলের কটাক্ষ, তিনি হাফ ছেড়ে বাঁচায় দিলীপ নাকি ‘মনের আনন্দে’ আছেন।
তবে অন্য একটি পোস্টে বাবুল নিশানা করেছেন, সেই সব মানুষকে যাঁরা গত কয়েক দিনে তাঁকে সমবেদনার বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন। তাঁদের প্রতি বাবুলের বক্তব্য, ‘অত্যন্ত আনন্দের সাথে যাঁরা আমাকে সমবেদনা জানাচ্ছেন তাঁদের মন থেকে ধন্যবাদ জানাই। মন্ত্রী থাকার সময়, সাত বছরেও এত মেসেজ পাইনি।’ এই পোস্টে বেশ কিছু ইঙ্গিতবাহী ইমোজিও ব্যবহার করেছেন বাবুল।
এসবের মধ্যেই একটি টেলিভিশন চ্য়ানেলকে দেওয়া নিজের সাক্ষাৎকারও পোস্ট করেছেন বাবুল। যার ক্যাপশনে লেখা, ‘আমি বুদ্ধিজীবীদের মতো সুবিধাবাদী নই। আমি রীতিমতো বিজেপি-র পতাকা নিয়ে রাজনীতি করছি।’ তবে এতকিছুর মাঝে তৃণমূলকে ফলো করায় বাবুলকে নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছিল। প্রসঙ্গত, মন্ত্রিত্ব হারানোর পর সংবেদনার সুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছেল, আজ বাবুল-দেবশ্রীরা খারাপ হয়ে গেল!
Be the first to comment