তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুকুল রায়কে ফলো করতেই অস্বস্তি বেড়েছিল বিজেপির। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, বাবুল সুপ্রিয় কী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন? অবশেষে পরিস্থিতি বেগতিক আঁচ করে বাবুলের মন রাখার ব্যবস্থা করা হলো। সামনেই আসানসোল পুরসভার নির্বাচন। তাই মানভঞ্জন করতে তাঁকে পুরসভা নির্বাচনে কাজে লাগাতে চাইল বিজেপি। মঙ্গলবার আসানসোলে বসেছিল বিজেপি কার্যকারিনীর বৈঠক। সেই বৈঠকে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে পুরভোটের প্রচারে এবার কোমর বেঁধে নামবে তাঁরা। প্রচারের জন্য ২১ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে আজ। সেই কমিটির প্রধান করা হয়েছে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে। যাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার পুর–নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় বিজেপি। এক্ষেত্রে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হলো।
বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে দলের যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল তা মানভঞ্জন করে এগোনো গেল।
বাবুল সুপ্রিয়কে কাজে লাগানো গেল।
তবে এখানে বাবুলের দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। সদ্য একুশের নির্বাচনে তাঁকে টালিগঞ্জে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি জিততে পারেননি।
তবে এই ২১ জনের কমিটিতে বাবুলের অপছন্দের মানুষটি রয়েছেন। নাম–জিতেন্দ্র তিওয়ারি। যাঁকে দলে নেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন স্বয়ং আসানসোলের বিজেপি সাংসদ। সঙ্গে আছেন কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার, আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, দুর্গাপুরের বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই, দলের নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন কাউন্সিলর শিবরাম বর্মন, বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় এবং শ্রীদীপ চক্রবর্তী।
সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফেসবুক পোস্টে খোঁচা দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তার পরই দলের ফাটল প্রকাশ্যে আসে। দলের এই পরিস্থিতি নিয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর মঙ্গলবার বৈঠকে দিলীপ ঘোষ থাকলেও ছিলেন না বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের সাংসদের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কোনও কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। আগেও এরকম অনেক বৈঠকে উনি আসেননি।’
Be the first to comment