আর সাংসদ নন বাবুল সুপ্রিয়, অবশেষে ইস্তফাপত্র গ্রহণ করলেন স্পিকার

Spread the love

অবশেষে মঙ্গলবার সাংসদ পদ থেকে বাবুল সুপ্রিয়র ইস্তফা গ্রহণ করলেন লোকসভার স্পিকার। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছিলেন বাবুল। কিন্তু স্পিকারের সময় না পাওয়ায় এই প্রক্রিয়া বেশকিছুটা পিছিয়ে যায়। শেষপর্যন্ত ১৯ তারিখ স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। অবশেষে মাসখানেক অপেক্ষার অবসান হল।

বিজেপি ছেড়েছিলেন আগেই।পুজোর আগে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আচমকাই তৃণমূল শিবিরে নাম লিখিয়ে ফেলেন আসানসোলের সদ্যপ্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তারপরই তিনি নিয়ম মেনে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর সেই মতো লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে সময় চান তিনি। তাঁকে চিঠি লিখে, দিল্লি গিয়ে দেখা করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু স্পিকার ব্যক্তিগত কাজে থাকায় বাবুল সুপ্রিয়কে সময় দিতে পারেননি। ফলে সেবার ইস্তফাপত্র না দিয়েই দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন বাবুল। তার মধ্যে অবশ্য নিজের সংসদীয় তহবিলের সমস্ত অর্থ খরচের জন্য মঞ্জুর করে দেন।যতদিন সাংসদ পদে ছিলেন, ততদিন পর্যন্ত অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে দিয়েছেন।

১৯ তারিখ অর্থাৎ গত মঙ্গলবার বেলার দিকে ওম বিড়লার বাড়িতে যান বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর সাংসদ হিসেবে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন। তিনি বলেন, ”বিজেপি শিবির থেকেই আমি রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ, দলের সভাপতির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমার প্রতি ভরসা রেখেছেন। কিন্তু আমি দলটা অন্তর থেকেই ছেড়েছি। তাই মনে করি যে বিজেপির হয়ে আমার সাংসদ পদটাও রাখা উচিত নয়।” এবার থেকে তিনি পুরোদস্তুর তৃণমূলের সৈনিক হিসেবেই কাজ করবেন। আপাতত তিনি গোয়ায় তৃণমূলের সংগঠন বৃদ্ধির কাজে যুক্ত রয়েছেন। এর মধ্যেই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন লোকসভার স্পিকার।

এরপরই গুঞ্জন আরও উসকে উঠেছে, বাবুল কি তাহলে এবার তৃণমূলের হয়ে আসানসোল থেকে লড়াইয়ে নামবেন? এ নিয়ে দিন কয়েক আগে তিনি প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*