অবশেষে বিধায়ক পদে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়। বুধবার বিধানসভার নৌশার আলি কক্ষে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথের পর বালিগঞ্জের বিধায়ক বলেন,‘‘বিধায়ক হিসেবে কাজ আমি অনেক আগেই শুরু করে দিয়েছিলাম। বিকেলে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে অনুষ্ঠান রয়েছে। সেখানে যাব। আজ থেকে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে কাজ করব। কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।’’
তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হননি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবুলের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় তিনি ছিলেন নিজের ঘরেই। বাবুলের শপথগ্রহণ উপলক্ষে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি, পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যা রানী টুডু, মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায় ও রাসবিহারীর বিধায়ক তথা দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা উপ নির্বাচনে বামফ্রন্ট প্রার্থী সায়রা হালিমকে ২০,০৩৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন বাবুল। তারপর থেকেই একের পর এক কারণে পিছিয়ে যাচ্ছিল তাঁর শপথগ্রহণ কারণ বিধায়কদের শপথগ্রহণের যে অধিকার রাজ্যপাল স্পিকারকে দিয়ে থাকেন তা তিনি ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। সঙ্গে পরিষদীয় দফতর যখন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে বাবুলের শপথের জন্য অনুমতি চায়, তখন তিনি সরকারের কাছে আটকে থাকা বিলের জবাবদিহি তলব করেন। ফলে আটকে যায় বাবুলের শপথ।
পরে অবশ্য সংবিধানের ১৮৮ ধারার উল্লেখ করে বাবুলকে শপথগ্রহণ করানোর অনুমতি দেন ডেপুটি স্পিকারকে। বাবুল আবার স্পিকারের কাছ থেকে শপথগ্রহণ না করতে পারা নিয়ে টুইট করেছিলেন। স্পিকারকে এড়িয়ে বাবুলকে শপথগ্রহণ করাতে অস্বীকার করেন ডেপুটি স্পিকার। ফলে ফের আটকে যায় বাবুলের শপথগ্রহণ। সঙ্গে চিঠি দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলেও রাজ্যপালকে জানিয়ে দেন তিনি।
সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত দলের তরফ থেকে আশিসকেই শপথগ্রহণ করাতে বলা হয়েছে। তাতেই ডেপুটি স্পিকার বাবুলকে শপথগ্রহণ করাতে রাজি হন। বুধবার তিনি শপথগ্রহণ করান বাবুলকে। শেষ হলো বাবুলের শপথ বিতর্ক।
Be the first to comment