‘‌শুভেন্দু যেন ওঁর বাবাকে গিয়ে উপদেশগুলো দেন’‌, লক্ষ্মীপুজোর দিন ইস্তফা বাবুলের

Spread the love

তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিনি। তারপর থেকেই সাংসদ পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন। তিনি যাতে সাংসদ পদ ছাড়েন তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সময় পাচ্ছিলেন না বিজেপি থেকে আসা গায়ক–সাংসদ। হ্যাঁ, তিনি বাবুল সুপ্রিয়। যিনি আজ, মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুজোর দিন ইস্তফা দিলেন। আর ইস্তফা দিয়েই শুভেন্দু অধিকারীকে তুলোধনা করলেন।

প্রায় দু’‌মাস পর তাঁকে আজ সময় দিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। আজ, মঙ্গলবার ওম বিড়লার বাসভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাবুল জানান, সাংসদ পদ ধরে রাখা অনৈতিক মনে হয়েছিল বলেই ইস্তফা দিয়েছেন। তারপর নিজেকে যেন অনেকটা মুক্ত বলে উপলব্ধি করছেন তিনি।

আজ ওম বিড়লার বাসভবন থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে আসানসোলের মানুষের প্রতি নিজের আবেগের কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘‌আসানসোল আমার জন্য স্পেশাল জায়গা। আসানসোলের প্রতি আমার আলাদা দায়িত্ব আছে। শুভেন্দুর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল, এখনও আছে। শুভেন্দু আমার সম্পর্কে কড়া ভাষায় কথা বলে, কারণ ওটা রাজনীতির স্বার্থে ওকে করতেই হবে। আমি নৈতিকভাবে ঠিক থাকতেই সাংসদ পদ ছেড়ে দিলাম। শুভেন্দুর বাবারও উচিত সেটাই করা। শুভেন্দু যেন ওঁর বাবাকে গিয়ে উপদেশগুলো দেন।’

উল্লেখ্য, বিজেপির টিকিটে আসানসোল থেকে পরপর দু’‌বারের সাংসদ হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু সম্প্রতি তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে যেতে শুরু করে। বার বার তিনি নানা টুইট করতে থাকেন। যা নিয়ে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ছিল। তারপর ডেরেক ও’‌ব্রায়েনের হাত ধরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গাড়িতে করে নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আসেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*