২০১৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে হবিবপুর ও বামনগোলা ব্লকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। দু’টি পঞ্চায়েত সমিতি ছিল বিজেপির দখলে ৷ হাতে ছিল একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনেও হবিবপুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কিন্তু, ভোটের পর বামনগোলায় শুরু হয়েছে দলবদলের পালা। আর এই দলবদলের পালায় বামনগোলা ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতিতে অনাস্থা পাশ করিয়ে ফেলেছে শাসক শিবির। সেই জায়গাগুলিতে তৃণমূলের বোর্ড গঠন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
যদিও এ নিয়ে তৃণমূলের পাশাপাশি প্রশাসনের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছে বিজেপি। গত ১৩ জুলাই বিজেপির হাতে থাকা চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ করায় তৃণমূল। পরের দিন বামনগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতেও একই ছবি ধরা পড়ে। আজ পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করিয়েছে শাসকদল। তৃণমূলের সদস্যদের সঙ্গে সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপির পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্য ৷
শুধু পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েত নয় ৷ আজ বিজেপি পরিচালিত বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধেও অনাস্থা পাশ করিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। পরবর্তীতে প্রশাসনের দেওয়া সময়ে এই তিন গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের বোর্ড গঠন হতে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে শুধুমাত্র গোবিন্দপুর-মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়া বামনগোলা ব্লকে বিজেপির কোনও অস্তিত্বই থাকল না। সূত্রের খবর, ওই পঞ্চায়েতটিও কয়েক দিনের মধ্যে শাসকদলের হাতে চলে আসতে পারে।
১৮ আসনের পাকুয়াহাট পঞ্চায়েত সমিতিতে ২০১৮-এর ভোটে বিজেপি ১০টি ও তৃণমূল ৮টি আসন জিতেছিল । ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর, কয়েকদিন আগেই পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ বিজেপি সদস্য তৃণমূলের ঝান্ডা ধরেন । ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১২ জনে । আর তার পর পরিসংখ্যান অনুযায়ী পঞ্চায়েত সমিতির দখল যে শাসকদলের হাতে যেতে চলেছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কোনও দ্বিমত ছিল না । শুধু দেখার ছিল, করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসন অনাস্থার তলবি সভা ডাকে কি না । আজ সেই সভা ডাকা হয়েছিল ৷
Be the first to comment