‘বাংলা আবাস যোজনা’র নাম থেকে ‘বাংলা’ কেটে ‘প্রধানমন্ত্রী’ বসাতে হবে। নাহলে এই প্রকল্পে আর এক টাকাও দেওয়া হবে না রাজ্য সরকারকে। নবান্নকে চিঠি দিয়ে জানাল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া হাজার হাজার কোটি টাকা। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি যেখানে সময়মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পাচ্ছে, ঋণ পাচ্ছে, বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে, সেখানে বাংলাকে সবক্ষেত্রেই বঞ্চিত করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার নিজেদের সীমিত পরিসরেই জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার এই অভিযোগ করেছেন। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আদায়ের জন্য প্রতিনিধিদলও পাঠিয়েছেন তিনি।
কিন্তু কেন্দ্র সরকার রাজ্যের কোনও বক্তব্যকেই গুরুত্ব দিতে নারাজ। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আবাস যোজনায় প্রধানমন্ত্রীর নাম যুক্ত না করলে কেন্দ্র এই প্রকল্পে আর টাকা দেবে না। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের নতুন প্রকল্প ‘আবাস প্লাস’ বাবদও বাংলাকে কোনও টাকা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে গিরিরাজ সিংয়ের মন্ত্রক। এমনটাই দাবি সূত্রের। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর, নাম বদলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি রাজ্যে চালানোর যে নিয়ম, তা ভঙ্গ করেছে রাজ্য সরকার। দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, টাকা তো দিচ্ছেই না, এবছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টার্গেটও রাজ্য সরকারকে দেয়নি কেন্দ্র।
সূত্রের দাবি, গিরিরাজের দপ্তরের পাঠানো চিঠিতে এটাও বলা হয়েছে যে, যতদিন আবাস যোজনায় বাংলার জায়গায় প্রধানমন্ত্রী যুক্ত না হচ্ছে, ততদিন রাজ্যকে এই প্রকল্পের টার্গেটও দেওয়া হবে না। যদিও শাসকদলের দাবি, কেন্দ্র সরকারের যে প্রকল্পগুলি রাজ্যে চলে তার খরচের একটা বড় অংশ রাজ্যকেও বহন করতে হয়। তাছাড়া এই প্রকল্পগুলির নাম বদল সাধারণ মানুষের বোঝার সুবিধার্থেই। এতে নিয়মভঙ্গের কোনও ব্যাপার নেই। বস্তুত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়েই রাজ্য সরকারকে সবরকমভাবে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের।
Be the first to comment