রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানার আগুন ১৬ ঘণ্টা পরও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি৷ অনেক শ্রমিকের খোঁজ মেলেনি, হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস৷ বরং নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন৷ পরে আরও ৩৭ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন মানুষ৷ রূপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ নুসরাত বলেন, ‘কারখানার শ্রমিক নিখোঁজ থাকার তথ্য আসছে৷’
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ করছে ৷ শুক্রবার ভোরের দিকে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছিল৷ কিন্তু সকালে ভিতরে আবার আগুন বেড়ে যায়৷ আমরা নেভানোর চেষ্টা করছি৷’ সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকেও ছয় তলা কারখানা ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার সামনের দিকে আগুন জ্বলতে দেখা যায় ৷ সজীব গ্রুপের এই কারখানার ওই অংশে সিমুই কারখানা ও গুদাম এবং কার্টনের গুদাম রয়েছে ৷ এছাড়া নিচের ফ্লোরগুলোতে সেজান জুস-সহ কোমল পানীয় এবকং খাদ্যপণ্য তৈরি হত বলে কর্মীরা জানিয়েছেন ৷
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম৷ তাঁরা হলেন সিলেট জেলার যতি সরকারের স্ত্রী স্বপ্না রানী (৩৪) এবং রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী মিনা আক্তার (৩৩)৷ এছাড়া রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মোরসালিন নামের অপর একজনের মৃত্যু হয়৷ আজ ৩৭ জনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আগুন কীভাবে লাগল, সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেননি৷ কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্যাস লাইন লিকেজ কিংবা বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে৷’
Be the first to comment