বাংলার নিজস্ব ডেয়ারি সংস্থা ‘বাংলার ডেয়ারি’র প্রসারে উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইঙ্গিত দিলেন, আগামী দিনে রাজ্যের শহরাঞ্চলের প্রতিটি ওয়ার্ডে বাংলার ডেয়ারির স্টল তৈরি করতে চায় রাজ্য সরকার। এখন যেসব দুগ্ধজাত দ্রব্য বাংলার ডেয়ারির স্টলগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলি ছাড়া অন্য দুগ্ধজাত দ্রব্যও বিক্রি করা হবে। এমনকী মৎস্য ও পশুপালন বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে মাছও মিলতে পারে বাংলার ডেয়ারির স্টলে, ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
‘বাংলার পুষ্টি এবং বাংলার সৃষ্টি’কে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে গতবছরের শেষের দিকেই আত্মপ্রকাশ করে বাংলার ডেয়ারি। বরাবরই অন্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের রাজ্যে যে কোনও খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই মনোভাব শিল্পবিস্তারে সহায়ক। এবার দুগ্ধশিল্পেও তাই নিজস্ব উৎপাদনকেই জোর দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভায় মমতা জানিয়েছেন, বাংলার ডেয়ারি বাংলার কৃষকদের কাছ থেকেই দুধ কিনছে। ফলে মাদার ডেয়ারি বা অন্য ডেয়ারি সংস্থার থেকে বাংলার ডেয়ারিতে দুধের দাম কম।
বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক এবং আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, এখন বাংলার ডেয়ারিতে দুধ, ঘি, এবং দই, পায়েসের মতো দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। আগামী দিনে এই দুগ্ধজাত পণ্যের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। বাংলার ডেয়ারিতে দুগ্ধজাত কেক বিক্রিরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি সূত্রের খবর, বাংলার ডেয়ারি আত্মপ্রকাশ করার সময় রাজ্য সরকার বাংলার কৃষকদের কাছ থেকে মোটে ৪ হাজার লিটার দুধ কেনা শুরু করেছিল। বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে ২৩ হাজার লিটার। এই মুহূর্তে বাংলার ডেয়ারিতে তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে দৈনিক প্রায় ১২ হাজার লিটার এবং দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১ হাজার কেজি।
এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, আমি চাই আগামী দিনে রাজ্যের শহরাঞ্চলের প্রতিটি ওয়ার্ডে বাংলার ডেয়ারির স্টল খোলা হোক। আর গ্রামাঞ্চলে অন্তত প্রতিটি ব্লকে একটি করে স্টল খোলা হোক। সেই সঙ্গে মৎস্য ও পশুপালন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে মাদার ডেয়ারির স্টলেই যদি মাছ বিক্রির ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে মানুষের সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা।
Be the first to comment