পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু ৷ উত্তপ্ত হয়ে উঠল কুলটি থানার বরাকর এলাকা ৷ দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ ৷ টায়ার জ্বালিয়ে চলে পথ অবরোধ, ইট বৃষ্টি ৷ এমনকী, পুলিশের গাড়িতে আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷
সোমবার রাতে আরমান খান নামে এক যুবককে ছিনতাইবাজ হিসেবে আটক করে পুলিশ । কিন্তু, আজ সকালে পুলিশের হেফাজতে আরমানের মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়ে ৷ এরপরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় । স্থানীয়দের দাবি, বরাকর থানার পুলিশ আধিকারিক তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে । এই খবর প্রচার হতেই দলে দলে লোক এসে জটলা করে বরাকর থানার সামনে । চলে ইট বৃষ্টি । সঙ্গে পথ অবরোধ ৷ এরপরেই উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র্যাফ । লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরানো হয় । দফায় দফায় বিক্ষোভ-উত্তেজনা ছড়ায় ঝাড়খন্ড সীমান্ত লাগোয়া এই শহরে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর । এই ঘটনায় দু’জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । এদের মধ্যে একজন হলেন বরাকর ফাঁড়ির আইসি অমরনাথ দাস ও এসআই প্রশান্তকুমার পাল ৷ এই দুইজনের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা ৷
এক স্থানীয় বাসিন্দা সিকান্দার আনসারি জানাচ্ছেন, কোনও কারণে আমার বন্ধুকে গতকাল রাতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ প্রথমে কী মামলা ছিল, জানি না ৷ সকালে শুনতে পেলাম ওকে মেরে ফেলা হয়েছে ৷ এর জবাব চাই ৷ কেন মারা হয়েছে? এর জবাব চাই ৷
Be the first to comment