বারাসতের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর থেকেই খাদ্য়মন্ত্রী রথীন ঘোষের দিকে আঙুল তুলেছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। বারবার বলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সবটাই জানতেন। তবে সেই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে মন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি কিছুই জানতেন না।
এ দিন টিভি ৯ বাংলা মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার পিছনে আইএসএফ-এর এক ব্যক্তিকে দায়ী করেছেন। বলেছেন, “আজ সকালে জানতে পেরেছি এই কাজের সঙ্গে আইএসএফ-এর একটি ছেলে যুক্ত। ওর নাম রমজান। সে এই বাজির কারখানা চালায়। উল্টোদিকে খুদে বলে একটি এলাকার লোক আছে। যার বাড়িতে বিভিন্ন শ্রমিকরা আসেন। ওরা ওই বাড়িতে বসে খাওয়া-দাওয়া করছিল। সেই সময় ব্লাস্ট হয়। এখনও পর্যন্ত সনাক্ত করা যায়নি।”
মন্ত্রীর বক্তব্য তিনি আজ প্রথম এই ফ্যাক্টারির কথা শুনলেন। এছাড়াও এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “কারা কোথায় অভিযোগ জানিয়েছেন আমি জানি না। আমি কোনও অভিযোগ পাইনি। কারণ নীলগঞ্জের নারায়ণপুর বলে একটি জায়গা আছে। যেখানে বাজি তৈরি হত। সেখানে প্রশাসনিক স্তরে পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে।”
ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলে বলেছেন, “পুলিশ সব জানে”। যদিও তৃণমূল বিধায়কের দাবি,”আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে কেউ কোনওদিন বলেনি। বাইরে থেকে বাজি তৈরি করে এখানে বিক্ষিপ্তভাবে মজুত রাখা হয়েছিল। আমি নারায়ণপুরের ঘটনা জানতাম। ওইখানকার কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। এটা জানতাম না। সব কি জানা সম্ভব নাকি?”
যদিও, পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “আমার কাছে এমন অভিযোগ এসেছে আর আমি কোনও পদক্ষেপ করিনি এটা হয়নি। এলাকায় পুলিশের ভূমিকা ভাল। যেখানে বাজি কারখানা তৈরি হয় নারায়ণপুর। তা বন্ধ করে দিয়েছে ওরা।”
Be the first to comment