দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ভাই বাসিল। কিন্তু বিমানবন্দরে যাত্রীরা তাঁকে চিনতে পেরেই স্থানীয় আধিকারিকদের জানিয়ে দেন। তারপর বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয় বাসিল রাজাপক্ষেকে। অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকরা তাঁকে দুবাই যাওয়ার অনুমতি দেননি। প্রসঙ্গত, গুজব ছড়িয়েছিল বাসিলকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে ভারত সরকার, এমনটাই জানা গিয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্র সূত্রে।
শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাতে কলম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন বাসিল। সেখানে ভিআইপি টার্মিনাল দিয়ে ঢুকে পালাতে চেষ্টা করছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তখনই তাঁকে চিনে ফেলেন আশপাশে থাকা মানুষজন। অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকরা তাঁর বিদেশযাত্রার কাগজপত্রকে বৈধতা দেননি। ভোর সোয়া তিনটে পর্যন্ত বিমানবন্দরে আটকে ছিলেন বাসিল। তারপরে সেখান থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে অজানা আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তারপর থেকেই জল্পনা চলছে, দেশ ছেড়েও পালিয়েছেন রাজাপক্ষে পরিবারের সদস্যরা। বিতর্ক আরও বেড়ে যায় বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংঘের একটি দাবি ঘিরে। সোমবার বিবিসির একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেশে নেই গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তবে কিছুক্ষণ পরেই নিজের কথা প্রত্যাহার করে তিনি জানান, শ্রীলঙ্কাতেই রয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
দ্বীপরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সর্বদলীয় বৈঠক হয়েছে সেদেশে। আগামী ২০ জুলাই সংবিধান মেনেই শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্ডেনা। নানা মহল থেকে শোনা যাচ্ছিল, তিনিই সম্ভবত প্রেসিডেন্টের পদে বসতে চলেছেন।
তবে আরও জানা গিয়েছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া রাজাপক্ষে পরিবার। রনিল বিক্রমাসিংঘেকে প্রেসিডেন্ট পদে বসাতে চাইছেন গোতাবায়া। দেশবাসীর রোষের মুখে পড়ে গোটা পরিবারকে পদত্যাগ করতে হলেও, বিক্রমাসিংঘেকে পদে রেখে বকলমে সরকার চালাতে চাইছে রাজাপক্ষেরা।
Be the first to comment