দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে টানা আটদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে রবিবার সকালে সর্বসাধারণের জন্য খুলল বেলুড় মঠের দ্বার। নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী, এদিন সকাল আটটা নাগাদ সকল ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য বেলুড় মঠের গেট খুলে দেওয়া হয়। বেলা ১১টা পর্যন্ত মঠ প্রাঙ্গণ খোলা ছিল। তারপর আবার বিকাল সাড়ে তিনটে থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বেলুড় মঠ প্রাঙ্গণ। তবে পূর্ব নির্ধারিত কোভিড-বিধি মেনেই ভক্তরা বেলুড় মঠে প্রবেশ করতে পারবেন।
বেলুড় মঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোয় বেলুড় মঠ প্রাঙ্গণে সর্বসাধারণের জন্য অবারিত না হলেও আসন্ন লক্ষ্মীপুজো এবং কালীপুজায় খোলা থাকবে। নির্দিষ্ট সময় মেনে অর্থাৎ সকাল আটটা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং বিকালে সাড়ে তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত কোভিড-বিধি মেনে ভক্তরা বেলুড় মঠে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৯ ও ১০ নভেম্বর অর্থাৎ ছট পুজোয় বেলুড় মঠের গেট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে গত বছরের মত এবছরও বেলুড় মঠের গঙ্গাঘাটে ছট পুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বেলুড় মঠে দর্শনার্থীদের ঢল নামত। তাই করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে জমায়েত এড়াতে গত বছরের মত এবারেও ভক্তশূন্য বেলুড় মঠে দুর্গাপুজো করা হয়। গত ১০ অক্টোবর, রবিবার অর্থাৎ মহাপঞ্চমীর দিন থেকেই গত ১৬ অক্টোবর, শনিবার অর্থাৎ একাদশী পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য বেলুড় মঠের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি সাংবাদিকদেরও দুর্গাপুজোয় বেলুড় মঠ চত্বরে প্রবেশে বিধি-নিষেধ জারি করা হয়। বেলুড় মঠে প্রবেশের জন্য প্রথমে নাম, মোবাইল নম্বর, বাড়ির ঠিকানা, মিডিয়া হাউসের নাম দিয়ে বিশেষ গেটপাস নিতে হয় সাংবাদিকদের। তবে সেই গেটপাস দেখিয়েও যখন-তখন মঠ প্রাঙ্গণে প্রবেশের অধিকার ছিল না।
পুজোর কোন দিন, কোন সময়ে সাংবাদিকেরা মঠ প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকতে পারবেন, তা স্থির করে দিয়েছিল মঠ কর্তৃপক্ষ। এমনকি থার্মাল স্ক্রিনিং করিয়ে, কোভিড-বিধি মেনে প্রবেশের পরেও মঠ প্রাঙ্গণে যত্রতত্র ঘোরার অনুমতি ছিল না সাংবাদিকদের। অন্যদিকে, সাংবাদিক ছাড়া সাধারণ মানুষের মঠ প্রাঙ্গণে প্রবেশের অধিকার না থাকলেও বেলুড় মঠের দুর্গাপুজো দেখা থেকে বঞ্চিত হতে হয়নি। অনলাইনে অষ্টমীর সকালে বেলুড় মঠের কুমারী পুজো থেকে সমগ্র দুর্গাপুজো দেখার ব্যবস্থা করেছিল কর্তৃপক্ষ।
Be the first to comment