দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কংগ্রেস তাদের প্রস্তাবিত ভারত জোড়ো যাত্রার উদ্বোধন এগিয়ে আনতে পারে। উদয়পুরে চিন্তন শিবিরে স্থির হয়েছিল, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত এই যাত্রা শুরু হবে ২ অক্টোবর থেকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রস্তুতি বৈঠকে দলের নেতারা বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো আজ আক্রান্ত, আক্রান্ত সংবিধান। জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিও মোদি সরকারের হাতে নিরাপদ নয়। এই অবস্থায় অত দেরি করে লাভ নেই। ২ অক্টোবরের আগেই ওই যাত্রা শুরু করতে হবে। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলি তাদের প্রস্তুতি শেষ করলেই সূচনার দিনক্ষণ ঘোষণা হবে।
এদিন দিল্লির ওই বৈঠকে দলের বহু নেতা উপস্থিত ছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতাদেরও ডাকা হয়েছিল বৈঠকে। তবে বিদেশ সফরে থাকায় অনুপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলিকে এই যাত্রার জন্য সক্রিয় হতে বলা হয়েছে।
ভারত জোড়ো যাত্রায় সমমনোভাবাপন্ন সমস্ত রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, পেশাজীবীদের শামিল হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে এদিন বলা হয, আজকে দেশে ঘৃণার রাজনীতি চলছে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যাঁদের বিন্দুমাত্র অবদান নেই, তাঁরা আজ দেশ শাসন করছেন। যাঁদের জন্য মহাত্মা গান্ধীকে শহীদ হতে হয়েছিল, তাঁরা আজ ক্ষমতায়। তাঁরা বিভাজনে মদত দিচ্ছেন, মেরুকরণের রাজনীতি করছেন। ভারত জোড়ো যাত্রা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার সংগ্রামে সবাইকে শামিল করতে চায়।
কংগ্রেস বলেছে, দেশে শিক্ষিত বেকারদের চাকরি নেই, অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে, শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি জনতার সামনে শুধুই অন্ধকার। তার মধ্যে চলছে ধর্মীয় বিভাজন, মেরুকরণের রাজনীতি। যে মানুষ দেশের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি চায়, তারই এই যাত্রায় অংশ নেওয়া উচিত।
Be the first to comment