বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেলেন ৫ শিক্ষিকা

Spread the love

পাঁচজন শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলি করার অভিযোগে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ। পাঁচ শিক্ষিকা বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। শিক্ষক ঐক্যমঞ্চের প্রতিবাদ ঘিরে এদিন দুপুরে তুলকালাম শুরু হয়। শিক্ষিকাদের চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

প্রতিবাদে শামিল এক শিক্ষিকা অনিমা নাথ জানান, “আজ আমরা বিষ খেয়েছি সবাই। আমরা মরে যাব, আমরা বাঁচব না। আমি বৃত্তিমূলক শিক্ষিকা। এ রাজ্যে কিছুই হওয়ার নেই আমাদের।”

এসএসকে ও এমএসকের পাঁচ শিক্ষিকাকে অনৈতিক ভাবে বদলি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বদলির অস্বচ্ছতার দাবি তুলে রাস্তায় নামে শিক্ষক ঐক্যমঞ্চ। এরপরই প্রকাশ্যে হাতে বিষের শিশি নিয়ে গলায় ঢেলে দেন পাঁচজন। মুখ থেকে গ্যাঁজলা উঠতে শুরু করে। এরই মধ্যেও সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন শিক্ষিকারা। অভিযোগ তোলেন, এক জেলা থেকে দূরের কোনও জেলায় এ ভাবে শিক্ষিকাদের বদলি করে দেওয়ার কোনও কারণই ছিল না। তবু এই আচরণ করছে সরকার।

অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার শিক্ষিকা ফাজিলাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের অপর শিক্ষিকাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়িতে। জ্যোৎস্না টুডু নামে এক শিক্ষিকাকে মেদিনীপুর থেকে বদলি করা হয়েছে জলপাইগুড়িতে। শিখা দাসকে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বদলি করা হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে বদলি করা হয়েছে। পুতুল মণ্ডল নামে এক শিক্ষিকাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে কেচাবিহারে বদলি করা হয়েছে। বৃত্তিমূলক শিক্ষিকাদের এই বদলি অনৈতিক বলে দাবি করছে শিক্ষক ঐক্য়মঞ্চ।

আন্দোলনকারী শিক্ষিকাদের দাবি, এ ভাবে চলতে পারে না। শিক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ করুন, এদিনের প্রতিবাদ থেকে সে দাবিও উঠেছে। এক জেলায় থাকেন। সেখান থেকে বদলি করে কাউকে অন্য প্রান্তে পাঠিয়ে দেওয়ার পিছনে হেনস্তার চেষ্টার ইঙ্গিত পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। এক শিক্ষিকার কথায়, “আমাদের সামান্যতম বেতন দেয়। অথচ বাড়ি থেকে অত দূরে গিয়ে কাজ করতে বলছে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গিয়ে আমাদের পক্ষে কাজ করা কী ভাবে সম্ভব?” এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে বিকাশ ভবনে যান তাঁরা। পুলিশের বাধা পেয়ে পরিস্থিতি এতটা জটিল হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ।

এরপরই এদিন বিষের শিশি হাতে নিয়ে একেবারে বিকাশ ভবনের গেটের ভিতর ঢুকে পড়েন শিক্ষিকারা। গলায় বিষ ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। পুলিশ কর্মীরা বাধা দিতে গেলে চরম ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাস্তা থেকে টেনে হিঁচড়ে ওই শিক্ষিকাদের তোলা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষিকাদের নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*