জিটিএ নির্বাচন এখনই নয়, আগে চাই পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান। এই দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। শনিবার চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, পাহাড়ে আগে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করতে হবে। জিটিএ চুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়িত করতে হবে। তারপরই হতে পারে জিটিএ-র নির্বাচন। এদিন দার্জিলিংয়ে এক দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গুরুং হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, জোর করে জিটিএ নির্বাচন করানো হলে আমরণ অনশনের পথে হাঁটবেন তিনি।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, জুন মাস নাগাদ জিটিএ নির্বাচন হবে পাহাড়ে। ২০১৭ সালে জিটিএ-র মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেখানে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। এবার ফের নির্বাচনের মাধ্যমে জিটিএ-র নতুন বোর্ড গঠনের পালা। তাই আর দেরি না করে দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে সায় দিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে প্রাথমিকভাবে স্বাগত জানিয়েছিলেন পাহাড়ের রাজনৈতিক নেতারা।
কিন্তু শনিবার সম্পূর্ণ ভিন্ন দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন পাহাড়ের একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বিমল গুরুং। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি গুরুংয়ের দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে জোট রয়েছেন মোর্চার। এখনই নির্বাচনের পথে হাঁটার দরকার নেই। বরং জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী সব দাবি পূরণ করুক রাজ্য সরকার। পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হোক। প্রয়োজনে সরকার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে আলোচনা করুক। তার জন্য তিনি নিজে কলকাতায় আসতে প্রস্তুত। এসবের পরই নির্বাচনের কথা ভাবা যেতে পারে।
বিকেলের দিকে দার্জিলিংয়ে এক দলীয় সভায় যোগ দিয়ে গুরুং জিটিএ নির্বাচন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, জোর করে জিটিএ নির্বাচন করা হলে তিনি চৌরাস্তায় আমরণ অনশনে বসবেন। এ প্রসঙ্গে পাহাড়ের তৃণমূল নেতা বিনয় তামাং বলেন, “ওটা মোর্চা দলের সিদ্ধান্ত আমার তেমন কিছু বলার নেই। ওরা জিটিএ চায়,\ না স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চায়, তা কলকাতায় জানিয়েছে। তাই কলকাতার নেতৃত্ব এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
Be the first to comment