বায়রন আর বিতর্ক যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। একরাশ বিতর্ক মাথায় নিয়ে আজ, বুধবার বিধসনসভায় শপথ নেন সাগরদিঘির সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। বাম সমর্থিত এই কংগ্রেস বিধায়ক শপথ পাঠ করালেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার নৌসার আলি কক্ষে
এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। এরপর স্পিকার নিজের ঘরে তাঁকে ডেকে নেন। বিধানসভায় বায়রন কোথায় বসবেন, সেটা তাঁকে স্পিকার জানিয়ে দেবেন বলেও জানান।
এদিন বায়রনের শপথ অনুষ্ঠানে শাসকদলের তরফে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন দুই প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র, নেপাল মাহাতো। কিন্তু এতকিছুর পরেও বায়রনকে কেন্দ্র করে ফের নতুন বিতর্ক।
বাম সমর্থিত কংগ্রেস বিধায়কের শপথের পরই নজিরবিহীন ভাবে বায়রনের হাতে একগুচ্ছ ফুল দিয়ে উষ্ণ অভিনন্দন ও সম্বর্ধনা দেওয়া হয় বিজেপির তরফে। তাঁকে অভিনন্দন জানান বিজেপির তিন বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, সত্যেন রায় ও অম্বিকা রায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই বিজেপি বিধায়কের তরফে বায়রনকে শুভেচ্ছা বলেই জানা যাচ্ছে। যা খুব তাৎপর্যপূর্ণ।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে প্রচারে গিয়ে একটি ফেস্টুন দেখিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস আসলে বিজেপির লোক। দলবদলু শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এক ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বায়রন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ। ফলে সাগরদিঘির তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাম-বাম-কং’এর মধ্যে অশুভ আঁতাত হয়েছিল।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের পরই অভিযোগ করেছিলেন, বায়রন বিশ্বাস বিজেপির লোক। কংগ্রেস তাঁকে প্রার্থী করেছে। আর বামেরা সমর্থন করে জিতিয়েছে। তৃণমূল বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর এবং অভিষেকের অভিযোগ যে সত্যি, সেটা প্রমাণ হয়ে গেল বায়রনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে।
উল্লেখ্য, শপথের আগেই বিতর্কে জড়িয়েছেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। দায়ের হয়েছে এফআইআর। বিষয়টি গড়িয়েছে কোর্ট পর্যন্ত।
বায়রন ফোন করে তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈনকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে শুধু হুমকি দেওয়াই নয়, মা-বোনেদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন নব নির্বাচিত বিধায়ক। কুণালের আরও দাবি, বাংলায় গণতন্ত্র রয়েছে বলেই এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বায়রন বিশ্বাসের মত অপসংস্কৃতিসম্পন্ন কংগ্রেস নেতা।
Be the first to comment