পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে পুরানো দলীয় পতাকা ফের হাতে তুলে নিলেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারও ৷ ভুল বোঝাবুঝির জন্য দল ছেড়েছেন জানিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই ৷ উন্নয়নে সামিল হব বলেই তৃণমূলে ফিরলাম ৷ উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় একটি ধস নামবে ৷ মানুষ সময়ের অপেক্ষায় রয়েছেন ৷
একসময় যে শিবিরে তাঁর দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, আজ সেই শিবিরেই ফেরত এলেন খোলা বাতাসের সন্ধানে ৷ ২০১১ এবং ২০১৬-তে বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রে ঘাসফুল শিবির থেকেই বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ ৷ তারপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায়ের পথেই বিজেপিতে যোগদান ৷ এদিন সম্পন্ন হল প্রত্যাবর্তন পর্ব ৷
গত ক’দিন বাংলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে ৷ সোমবার বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষের পর এদিন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। একই পথে হাঁটছেন নাকি দক্ষিণ দিনাজপুরের এক বিজেপি বিধায়কও। এদিন দক্ষিণ কলকাতার সেনেটর হোটেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উপস্থিতিতে তৃণমূলে ফিরলেন বিশ্বজিৎ দাস।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর মুকুলের পথে হেঁটেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। সেই সময় তিনি বনগাঁ উত্তরের বিধায়কও ছিলেন। তবে দু’বছর কাটতে না কাটতেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে চির ধরলো ৷ যাঁর হাত ধরে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তিনিও এবারের বিধানসভা নির্বাচনের পরই ঘাসফুল শিবিরে চলে আসেন।
তবে আজ বিশ্বজিতের ঘরে ফেরা হঠাৎ নয়, এই গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল । বিধানসভা অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের ধুলো নেওয়া থেকে সম্প্রতি বনগাঁয় আয়োজিত হওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁর গরহাজিরা বারবার সেই জল্পনাই উস্কে দিচ্ছিল । এদিন দুপুর সাড়ে তিনটেয় সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়লো।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ সাংসদ ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান করেন। তারপরই এদিন ফের বেশ বড় ধাক্কাই খেল বঙ্গের পদ্ম শিবির। আরও কমল তাদের বিধায়কের সংখ্যা।
তবে আজ বিশ্বজিতের ঘরে ফেরা হঠাৎ নয়, এই গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল । বিধানসভা অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের ধুলো নেওয়া থেকে সম্প্রতি বনগাঁয় আয়োজিত হওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁর গরহাজিরা বারবার সেই জল্পনাই উস্কে দিচ্ছিল । এদিন দুপুর সাড়ে তিনটেয় সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ল ।
Be the first to comment