কয়েকদিন আগেই শপথ নিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কেরা। এরপর একদিকে রাজ্যের হিংসার অভিযোগ কাঁটা হয়েছিল শাসক দলের। এরই মধ্যে সাত সকালে পরপর গ্রেফতার চার নেতা। এদের মধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায় এই মুহূর্তের তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য না হলেও চারজনই বাংলার রাজনীতির দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত। তাঁদের গ্রেফতারির পর তাই বিক্ষোভের ঘটনায় আশঙ্কা বাড়ছে বিরোধীদের।
সোমবার সকালে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করার পর্ বিজেপি অফিস থেকে ফোন যায় লালবাজারে। এর আগে সারদা মামলায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পর আক্রমণ হয়েছিল বিজেপি অফিসে। অফিস ঘিরে ফেলেছিলেন তৃণমূলকর্মীরা। তাই সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আগাম সাবধানতা নিচ্ছে বিজেপি। হামলার আশঙ্কায় লালবাজারে ফোন করে নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে। বিজেপির মুরলীধর লেনের অফিস ও হেস্টিংসের নির্বাচনী অফিসে বাড়ড়ি নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের ছবি দেখা যাচ্ছে। সকালে ফিরহাদ হাকিমকে চেতলার বাড়ি থেকে সিবিআই তুলে নিয়ে আসতেই সেখানে রাস্তায় বসে পড়েন কর্মী-সমর্থকেরা। বিক্ষোভের ছবি আসছে একাধিক জেলা থেকেও। কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে, কোথাও রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মীরা। তাই বিজেপি অফিসেও যে সেরকমই প্রতিক্রিয়ার প্রভাব পড়তে পারে, সেই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
অনেক কর্মীই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী বা মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল না?’ গোটা বাংলায় আগুন জ্বলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, দলের তরফে সৌগত রায়, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারাও দাবি করেছেন সিবিআই-এর গ্রেফতারি আসলে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। এই ঘটনাকে নিছক আইনি পদক্ষেপ হিসেবেই বর্ণনা করছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
Be the first to comment