কলকাতা শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। আর সেই ব্যস্ত রাস্তায়, দিনের ব্যস্ত সময়ে ফুটপাথবাসী বছর কুড়ির এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো বড়বাজার এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে দু’জন অভিযুক্তকে। এক জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত দু’জনের নাম পিন্টু সাহা এবং সুনীল যাদব।
শুক্রবার দুপুরে স্ট্র্যান্ড রোড থেকে আর্মেনিয়াম ঘাটে ঢোকার মুখে এক তরুণীকে কাঁদতে দেখে তাঁর কাছে এগিয়ে যান এক ট্রাফিক কনস্টেবল। গোটা ঘটনা বুঝতে পেরে খবর দেওয়া হয় পাশের উত্তর বন্দর থানায়। ‘নির্যাতিতা’ ওই তরুণীকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় কাছেই পোস্তার এক বেসরকারি হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানেই চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার।
বেলা ৩টে নাগাদ তরুণীর মা এবং ভাই গিয়ে অভিযোগ জানায় সরকারিভাবে। এরপর শুক্রবার রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে পিন্টু এবং সুনীলকে।
পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, খাবারের লোভ দেখিয়ে ওই তিনজন তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ওই তরুণী পুলিশকে ঘটনাস্থলের যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে পুলিশের অনুমান, গঙ্গার ঘাট লাগোয়া কোনও পরিত্যক্ত জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ধৃত দু’জনকে আদালতে তোলা হলে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত দু’জনই পেশায় হকার।
বছর দুই আগেই ব্রেবোর্ন রোডে এক ফুটপাথবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল মহানগরে। এ বার স্ট্র্যান্ড রোড। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে শহর কলকাতার ফুটপাথবাসীদের নিরাপত্তা নিয়ে।
Be the first to comment