মেট্রোর কাজের জেরে বৌবাজারের দুর্গা পিটুরি লেনের অন্তত ১৪টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। বুধবার প্রথম সেই ফাটল চোখে পড়ে। তার জেরে গভীর রাতেই ঘরছাড়া পরিবারগুলো। তার পরেই তড়িঘড়ি মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফাটলে ক্ষতিগ্রস্ত এই বাড়িগুলো রাখা কতটা ঠিক হবে, এখন সেই নিয়ে চিন্তায় কলকাতা পুরসভা। অন্যদিকে মেট্রোর কাজের দায়িত্বে থাকা কেএমআরসিএল–এর তরফে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গে ১১টি জায়গা দিয়ে জল বের হচ্ছিল। তা মেরামত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মতে, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো মেরামত করার পরেও ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। যে কোনও সময় সেগুলো ভেঙে পড়তে পারে। ফিরহাদ জানিয়েছেন, ‘এখানে বাড়িগুলি পুরনো। ইটের ভিত দিয়ে তৈরি। পাইলিং নেই। মাটি সরে গেলে এই বাড়িগুলি বসে যায়। এইসব বাড়ি আদৌ রাখা সম্ভব কি না, তা ঠিক করতে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে।’
এই নিয়ে বিল্ডিং দপ্তর একটি রিপোর্টও জমা দিয়েছে মেয়রকে। তাতে বাড়িগুলো ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তার আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে বাড়ি ও মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে পুরসভা। তারপরই এই বাড়িগুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে। এদিন কেএমআরসিএল–কে নিয়ে পুরভবনে বৈঠকে বসবেন ফিরহাদ হাকিম।
এদিকে বাড়িতে ফাটল ধরায় ঘরছাড়া বহু পরিবার। ওই এলাকায় বহু সোনার কারখানা রয়েছে। প্রায় ৪০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে বিপদে স্বর্ণশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা। কোনও মতে লকডাউনের ধাক্কা সামলে উঠেছিলেন তাঁর। এই পরিস্থিতিতে ফের দোকান বন্ধ থাকায় চাপে ব্যবসা।
Be the first to comment