প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বুদ্ধবাবুর অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০-এর আশেপাশেই রয়েছে। তবে হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়ে নিজের অবস্থানেই অনড় রয়েছেন বুদ্ধবাবু। যদিও পার্টি নেতৃত্বও হাল ছাড়েনি। হাসপাতালে গেলে যে তিনি পুরোপুরি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকবেন, সে ব্যাপারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝানোর আপ্রাণ প্রয়াস করছেন তাঁরাও।
চিকিৎসকদের কথায়, করোনা আক্রান্ত হলেও বুদ্ধবাবু সুস্থই রয়েছেন। তবে তাঁদের মতে, হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরও কিছু শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো সম্ভব। আপাত দৃষ্টিতে তাঁকে সুস্থ লাগলেও, করোনার প্রভাব শরীরে কতটা প্রভাব পড়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
দীর্ঘদিন ধরেই সিওপিডি-তে আক্রান্ত তিনি। গত কয়েক বছরে সে সমস্যা আরও বেড়েছে। তাঁকে রাখতে হয় পোর্টেবল অক্সিজেন সাপোর্টে। তাঁকে একাধিকবার ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। অসুস্থতার জন্য দীর্ঘদিন ঘরবন্দি তিনি। শেষবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল ২০১৫ সালের ব্রিগেডের সমাবেশে। ২০১৯এ ব্রিগেডে গেলেও তিনি গাড়ি থেকে নামেননি। ২০২১ সালের ব্রিগেডের আগে দেন ভার্চুয়াল বার্তা।
বুদ্ধবাবর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসকরা বলছেন, বুদ্ধবাবু যেহেতু সিওপিডি-তে আক্রান্ত, তাতে অক্সিজেনের স্যাচুরেশনের মাপকাঠি সাধারণত ৮৮-৯০এর মধ্যে থাকবে। বুদ্ধবাবুর শরীরে বর্তমানে এই পরিমাণ অক্সিজেন ওঠানামা করছে। যদি এর নীচে নামতে শুরু করে, তাহলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবারই বেশ অনেকটা রাতেই জানা যায়, কোভিডে আক্রান্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী। বুদ্ধবাবুর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য এই মুহূর্তে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি। অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। তাঁর শরীরে এই মুহূর্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা ৯৫-৯৭। বুদ্ধবাবু দীর্ঘদিন ধরেই ঘরবন্দি। করোনা আবহে তাঁর স্ত্রীও তেমন ভাবে বাড়ির বাইরে বেরোন নি। এবার ভোট দিতেও যাননি তিনি। কয়েকদিন ধরে শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। মঙ্গলবার সকালেই সেই রিপোর্ট আসে।
Be the first to comment