করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। টিকা নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও। সেই কারণেই, কোভিড উভয়ের শরীরে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে দুজনেই স্থিতিশীল রয়েছেন। রবিবারই হাসপাতালে থেকে ছাড়া পাচ্ছেন মীরা ভট্টাচার্য। এদিকে, সুস্থতার পথে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও।
জানা গিয়েছে, যেহেতু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ম্যাসিভ COPD-র রোগী, তাই তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে চিকিৎসকরা। CPIM-এর কলকাতা জেলা কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘ভাইরাস হয়ত শরীর থেকে নির্মূল হবে। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে সাইটোকাইন স্টর্ম। কারণ COPD-র সমস্যা প্রবল রয়েছে তাঁর। সে ক্ষেত্রে ফুসফুসে এর কতটা প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে চিন্তা রয়ে গিয়েছে।’ সূত্রের খবর, সাইটোকাইন স্টর্ম যাতে শরীরে প্রভাব ফেলতে না পারে, তার জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে স্টেরয়েড দেওয়ার ভাবনাও রয়েছে চিকিৎসকদের। এই মর্মে উডল্যান্ডস হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করছেন তাঁর গৃহশিক্ষকরা।
পার্টি সূত্রে খবর, চিকিৎসার জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে যেতে নারাজ। এই অবস্থায় পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থার অবনতি হ’লে তাঁর নিষেধ উপেক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। অ্যাম্বুলেন্স তৈরি রাখা হয়েছে। এ নিয়ে তাঁর মেয়ে সুচেতনার সঙ্গে কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
তবে, বুদ্ধবাবু কথা বলতে পারছেন। তাঁর চিকিৎসকের কাছ থেকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নেন। খাওয়া-দাওয়াও স্বাভাবিক নিয়মেই করছেন। তাঁর ওপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা হচ্ছে। অক্সিজেন সাপোর্টেই আছেন বুদ্ধদেব।
Be the first to comment