আচমকাই পায়ের তলা থেকে সরে গেল মাটি, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের মাঝের অংশটি। মহারাষ্ট্রের থানেতে একটি ২৬ বছরের পুরনো ফ্ল্যাট ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ থানের নেহেরু চকে অবস্থিত সাই শক্তি নামক একটি পাঁচতলা বিল্ডিং ভেঙে পড়ে। তিনজন মহিলা ও এক নাবালক সহ মোট ছয়জনের দেহ উদ্ধার হয়। ধ্বংসস্তূপ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পাঁচজনকে। শনিবার আরও একটি দেহ উদ্ধার হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় সাতে।
থানে পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের প্রধান সন্তোষ কদম ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে জানান, বাড়িটি ২৬ বছরের পুরনো। মোট ২৯টি ফ্ল্যাট ছিল। শুক্রবার রাত নটা নাগাদ আচমকাই পাঁচতলা থেকে একতলা অবধি পরপর পাঁচটি ফ্ল্যাটের ড্রয়িং রুমের মেঝে ভেঙে পড়ে। খবর পেয়েই থানে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা উদ্ধার কার্য শুরু করেন। শুক্রবার মধ্য রাতে উদ্ধার কার্য স্থগিত করে দেওয়া হয়।
এদিকে বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পেয়েই ঘটনাস্থান পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তিনি জানান, গোটা ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে জানানো হয়েছে। মৃতদের পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে।
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিককালে এই নিয়ে দু’বার এইধরনের দুর্ঘটনা ঘটল। ১৯৯৪-৯৫ সাল নাগাদ পুরসভার তরফে এই অঞ্চলের একাধিক অবৈধ বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু অসৎ প্রোমোটার সেই ভাঙা বাড়িকেই মেয়ামতি করে, নতুন স্ল্যাব বসিয়ে নতুন ফ্ল্যাট হিসাবে বিক্রি করে দেয়। এখন সেই বাড়িগুলিই ভেঙে পড়ছে।”
উল্লাসনগর পুরসভার পৌরপ্রতিনিধিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এইধরনের সমস্ত বাড়ি খালি করানোর নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে বাড়িগুলির নির্মাণকারীদের খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছেন।
Be the first to comment