রোজদিন ডেস্ক:-
দুর্গাপুজোর পরই রাজ্যে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সম্ভাবনা থাকছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমন খবরই মিলেছে। অক্টোবরে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনের সঙ্গেই বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এই ছয় বিধানসভা কেন্দ্র সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তৈরি রাখতে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। যে ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে তারমধ্যে ৫টি ছিল তৃণমূলের দখলে। ১টি ছিল বিজেপির দখলে। তৃণমূলের দখলে থাকা ৫ বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার সিতাই, দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলার তালড্যাংরা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি ও হাড়োয়া। বিজেপির দখলে ছিল উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র।
অন্যদিকে, গত ১৯শে সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করছেন জহর সরকার, যার মেয়াদকাল ছিল ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত। এবার সেই আসনেই ভোট করানোর জন্য তৎপর হলো নির্বাচন কমিশন। এখন দেখার বিষয় একটাই যে, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে নির্বাচন কমিশন অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদল কতটা নিজেদের ভূমিকাকে সঠিক ভাবে ধরে রাখতে সক্ষম হয়। সম্প্রতি আর জি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যের সামনে যে একটা বড় চ্যালেঞ্জ উঠে এসেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই জায়গা থেকেই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে আদৌ কি সম্ভব হবে, নাকি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির ফলে এবার রাজ্যের মানুষ পালাবদল ঘটাবে সেটাই এখন দেখার। যদিও কমিশন সূত্রে খবর ঘোষনার পরপরই রাজ্যের উপ-নির্বাচনের এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে এবারের সংখ্যাটা যে অন্যবারের তুলনায় বেশি থাকবে তা কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন। এই আবহে সব রাজনৈতিক দলগুলোই রীতিমতো এখন থেকেই মাটি কামড়ে নামতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুধবার বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম গত হয়েছেন। কমিশন কি ওই জায়গায় এই ছয়টি বিধানসভার উপনির্বাচন ও রাজ্যসভার নির্বাচনের সঙ্গে একসঙ্গে সেখানেও নির্বাচন করাবে কিনা এটাও এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে শাসকদল এই নির্বাচন কে নিয়ে বিশেষ কোনো আমল দিতে চাইছে না কারণ তাঁদের বিশ্বাস রাজ্যের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই ভরসা রাখেন তাই সব আসনেই তাঁরাই জয়লাভ করবেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা নির্বাচন কমিশন কবে নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে।
Be the first to comment