একের পর এক ধাক্কায় বিপর্যস্ত আইএসএফ শিবির। একদিকে দলের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ, যার জেরে যে কোনও মুহুর্তে গ্রেফতার হতে পারেন ভাঙড়ের এই বিধায়ক, অন্যদিকে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল আইএসএফের ৮২জন প্রার্থী ভোটে লড়াই করতে পারবেন না। আর এই জোড়া ধাক্কাতেই বেসামাল হয়ে পড়েছে আইএসএফ ।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নাম উধাওয়ের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভাঙড়-২ ব্লকের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী। তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল কমিশন। সেই মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ ছিল, নির্বাচন কমিশনকে ওই ৮২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন খতিয়ে দেখতে হবে। সব ঠিক থাকলে এই ৮২ জনকে ভোটে লড়তে দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার গিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চে।
মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলা ওঠে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি সিংহের একক বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চ তাদের নির্দেশে জানিয়েছে, এই ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। একক বেঞ্চ মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল আপাতত তা স্থগিত থাকবে। ১৫ দিন পরে মামলাটির আবার শুনানি হবে। যদিও ১৫ দিন পর পঞ্চায়েত ভোটই হয়ে যাওয়ার কথা। তাই আপাতত এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে এই প্রার্থীরা ভোটে লড়তে পারছেন না।
উল্লেখ্য, আইএসএফ প্রার্থীদের মতোই ভাঙড়ের ১৯ জন সিপিএম প্রার্থীও মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নাম সরে যাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। সেই মামলাতেও ১৯ সিপিএম প্রার্থীকে আবার ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কমিশন হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলে তারা বিচারপতি সিনহার নির্দেশ খারিজ করে দেয়।
Be the first to comment