প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সোমবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার বিচার বিভাগে চতুর্থ শ্রেণির (গ্রুপ-ডি) কর্মী নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। তা নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। বুধবার মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। আবেদনকারী মৌয়াজ আশরাফের দাবি, বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে (সিট) কিংবা কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে এই অভিযোগের তদন্ত করা হোক। আবেদনকারীর আরও অভিযোগ, ওই নিয়োগে বহু অস্বচ্ছতা ধরা পড়েছে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা আদালতে কর্মী নিয়োগের জন্য ২০১৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। বলা হয়েছিল, স্টাফ রিক্রুটমেন্ট এগজামিনেশনের মাধ্যমে ওই নিয়োগ হবে। ১৯ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও লিখিত পরীক্ষা হয় চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি। মামলাকারীর অভিযোগ, সারা রাজ্যে ওইদিন বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা ঘিরে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বহু পরীক্ষার্থী ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে পরীক্ষায় বসেন। পরবর্তীকালে নিয়োগের ক্ষেত্রেও অনিয়ম হয়েছে। পুলিসকে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তারা আজ পর্যন্ত ওই অনিয়মের বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আবেদনকারী জানান, এর জন্যই তিনি বিষয়টি আদালতের গোচরে আনতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, সঠিক তদন্ত হলে এই ক্ষেত্রেও বড় ধরনের বেনিয়ম ধরা পড়বে।
আবেদনকারী মৌয়াজ আশরাফ বলেন, ২০১৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হল। অথচ লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হল ঠিক দু’বছর পর। কেন এত বিলম্ব, তা বোধগম্য হচ্ছে না। আবেদনে বলা হয়েছে, পরীক্ষা হওয়ার পর চার মাসের মধ্যে যুদ্ধকালীন ক্ষিপ্রতায় গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। তাতে বিস্তর অনিয়ম হয়েছে।
Be the first to comment