চার্জশিট জমা পড়লে গ্রেফতার কেন? বিচারকের কড়া প্রশ্নের মুখে সিবিআই

Spread the love

নারদ মামলা গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের দুই বর্তমান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়, এবং প্রাক্তন মন্ত্রী মদন ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি চলছে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তৃণমূলের নেতাদের হয়ে এ দিন মিত্রর আদালতে সওয়াল করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এই মামলায় সোমবার সকালেই গ্রেফতার হন ফিরহাদ, সুব্রত, মদন ও শোভন। গোটা ঘটনায় চার্জশিট পেশ হলেও কেন তাঁদের গ্রেফতার করা হল, সোমবার এই প্রশ্ন তুলে দেন খোদ বিচারক।

অন্যদিকে ভার্চুয়ালি মামলা চলাকালীন সিবিআই-এর আইনজীবী চার নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। পালটা সিবিআই আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় সিবিআই-এর কাছে জানতে চান, চার্জশিট যখন জমা পড়ে গিয়েছে তখন কেন গ্রেফতার করা হল? চার্জশিট তৈরি হয়ে গেলে এখন তো শুধু তো কেবল আদালতে শুনানি বাকি থাকতে পারে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ বাকি থাকতে পারে না। তাহলে কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার? এই ধারালো প্রশ্ন তোলা হয় আদালতের পক্ষ থেকে। বর্তমানে শুনানি জারি রয়েছে আদালতে।

সিবিআই সূত্রে খবর, অলাইনে এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। বিচারককে চার্জশিট জমা দিয়ে বিচারবিভাগীয় হেফাজত চেয়েছে সিবিআিই। আদালতে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বর্তমানে পুরো কলকাতার কোভিড পরিস্থিতি দেখছেন ফিরহাদ হাকিম। এই অবস্থায় ফিরহাদকে গ্রেফতার করা হলে পুরো কলকাতা অসহায় হয়ে পড়বে। এটা হতে পারে না।

আদালতে তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন হল? মুকুল রায়-শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হল না কেন? রাজ্যপালের উদ্দেশে তোপ তেগেই তৃণমূলের আইনজীবী দাবি করেন, রাজ্যপালের কোনও ক্ষমতা নেই গ্রেফতারির অনুমতি দেওয়ার। রাজ্য যা সুপারিশ করবে সেটাই তিনি অনুমোদন করতে পারেন। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা করার কোনও অভিযোগ নেই। তাহলে গ্রেফতার করা হল কেন? প্রশ্ন করেন কল্যাণ।