কয়লা পাচারকাণ্ডে চার্জশিটের প্রস্তুতি সিবিআইয়ের। চলতি মাসেই প্রথম চার্জশিট দিতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। সূত্রের খবর, চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম থাকছে অনুপ মাজি ওরফে লালার। নাম থাকার সম্ভাবনা তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মিশ্র ও তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্রেরও। বিনয়কে ‘পলাতক’ হিসেবে চার্জশিটে উল্লেখ করা হচ্ছে বলেই খবর। আন্তর্জাতিক অপরাধী হিসেবেও ঘোষণা করার জন্য রেড কর্নার নোটিস জারির আবেদন করা হয়েছে, উল্লেখ থাকছে তারও।
চার্জশিটে নাম থাকার সম্ভাবনা অনুপ মাজি ওরফে লালা (মূল চক্রী)র। থাকতে পারে বিনয় মিশ্র (মধ্যস্থতাকারী), বিকাশ মিশ্র (বিনয়ের ফান্ড ম্যানেজার), অশোক মিশ্র (বাঁকুড়ার আইসি), নীরজ সিং (লালার অ্যাকাউনটেন্ট, আপাতত যিনি পলাতক), গণেশ বাগাড়িয়া (ব্যবসায়ী), বামাপদ দে (লালা ঘনিষ্ঠ), রণধীর বার্নওয়াল (ব্যবসায়ী)-এর।
সব মিলিয়ে ১০-১২ জনের নাম থাকতে পারে প্রথম চার্জশিটে। সূত্রের খবর, রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের একাংশের ‘মদতে’ কয়লা সাম্রাজ্য চালাতেন লালা, তারই উল্লেখ থাকবে চার্জশিটে। প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিষয়ও উল্লেখ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকজন পুলিশ কর্তার নাম থাকারও সম্ভাবনা। একইসঙ্গে যে সমস্ত ইসিএল কর্তার নাম এফআইআরে ছিল, তাঁদেরও নাম থাকবে প্রথম চার্জশিটে।
বাংলা নির্বাচনের ঠিক আগে এ রাজ্যে সামনে আসে নতুন কেলেঙ্কারি। অবৈধভাবে কয়লা পাচার করে উঠত কোটি কোটি টাকা। আর সেই টাকা প্রভাবশালীদের অ্যাকাউন্টে যেত বলেও জানা যায়। কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসে একের পর এক নাম। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে মামলা দায়ের করে সিবিআই।
এরপরই প্রকাশ্যে আসে অনুপ মাজি ওরফে লালার নাম। একইসঙ্গে এই কাণ্ডে নাম জড়ায় একাধিক পুলিশসুপার, জেলাশাসক, ইসিএল ও রেল আধিকারিকের। নাম উঠে আসে বহু প্রভাবশালী নেতা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও। ইতিমধ্যেই একাধিকবার লালাকে জেরা করেছে সিবিআই। তবে সে ভাবে লালা মুখ খোলেননি বলেই সিবিআই সূত্রে খবর। লালা যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচের আওতায়, তাই তাঁকে গ্রেফতারও করা সম্ভব নয় এ মুহূর্তে। এবার চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত এগোতে চাইছে সিবিআই।
Be the first to comment