প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থকে জেরা করতে জেলে গেল সিবিআই, পুজো মিটতেই তৎপরতা তুঙ্গে

Spread the love

 

রোজদিন ডেস্ক :-

প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেল সিবিআই। পুজোর আগে সিবিআই আদালতের থেকে এ ব্যাপারে অনুমতি পেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পুজো মিটতেই দুর্নীতি মামলায় তৎপর হল তারা।

গত ১ অক্টোবর বিশেষ সিবিআই আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে হাজির করানো হয়। তার পর তাঁকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের আবেদন জানায় সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তার পরেই পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পার্থের পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলকেও আদালতে হাজির করানোর পর গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। যদিও ওই দিন দু’জনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আলাদা করে আবেদন জানায়নি সিবিআই। জেলে গিয়ে পার্থকে জেরার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত।
বস্তুত, ইডির মামলার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি নিম্ন আদালতকে পার্থর মামলা দ্রুততার সঙ্গে শোনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ইডির মামলায় জামিনের যে আর্জি করা হয়েছিল পার্থর তরফে তা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৭ অক্টোবর। তার আগে সিবিআই কার্যত চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ওপর।
বর্তমানে এসএসসি মামলাতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই অন্য মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করলেও পার্থকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি। বরং জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে চেয়েছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পরই তাঁরা তৎপর। পার্থের পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অয়নক শীলকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁকেও অবশ্য নিজেদের হেফাজতে চায়নি কেন্দ্রীয় সংস্থা।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, পার্থর বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ৭ বছর সাজা হতে পারে। কিন্তু কোনও অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ার আগেই তিনি ২ বছর জেলে রয়েছেন। তাই তাঁকে দ্রুত জামিন দেওয়া হোক। এই আর্জির পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নিম্ন আদালতকে নিয়মিতভাবে দ্রুত এই মামলা শুনতে হবে।
নিয়োগ দুর্নীতির জন্য ২০২২ সালে পার্থ গ্রেফতার হন। এর আগে নাকতলার বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছিল। তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে ওই সময়েই তল্লাশি চালায় ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার পাশাপাশি প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়নাও উদ্ধার হয়। পরে অর্পিতার আরও একটি ফ্ল্যাট থেকে টাকা পাওয়া যায়। মোট টাকার সংখ্যাটা ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ।
ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলাতেও পার্থ, সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদ সিনহা-সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষাকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*