ইতিমধ্যেই চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটের মেজাজে ফিরেছে বাংলা। এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেটা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তটি নিতে দেখা গেল দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থী বিক্ষোভের মুখে পড়ার পরই।
এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ৩–০ ফলাফলে বিজেপিকে পরাজিত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তাদের টার্গেট ৪–০ ফলাফল করা। সেখানে চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমনকী মোতায়েন করা হল আরও ৫৩ কোম্পানি। সেক্ষেত্রে মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৮০ কোম্পানি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, উপনির্বাচনের পর ফিরে যাবে ৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর ৭ কোম্পানি থাকবে গণনা পর্যন্ত।
আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই চার কেন্দ্র হল— দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা এবং খড়দহ। ২ নভেম্বর হবে ভোট গণনা। আগেই এই চার কেন্দ্রে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার তা বাড়িয়ে দেওয়া হল। এমনকী শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে রবিবার রুটমার্চও করেন জওয়ানরা। তাতে তুঙ্গে উঠেছে নির্বাচনের মেজাজ।
উল্লেখ্য, দিনহাটায় প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভে মুখে পড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল। তারপর তিনি বিষয়টি জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে। সূত্রের খবর, তারপরই নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়িয়ে দেওয়ার। যা সবার নজর কেড়েছে। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা পতাকা নিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তারপরই কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Be the first to comment