সেনার ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পে নিয়োগ নিয়ে দেশজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি চলছে গত কয়েক দিন ধরেই। উল্লেখ্য, চার বছরের চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগের অন্যতম কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় কমানো। সরকারের খরচ কমাতে এবার কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকদের বিমান যাত্রা নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল অর্থমন্ত্রক।
নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এবার থেকে সরকারি সফরে সবচেয়ে স্বল্পমূল্যের বিমান টিকিটেই যাতায়াত করতে হবে আধিকারিকদের। সরকারি সফর বা এলটিসির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২১ দিন আগে টিকিট কাটতে বলা হয়েছে।যাতে করে টিকিটের মূল্য তুলনামূলক কম পড়ে।
মন্ত্রক তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি সফরে একটিমাত্র বিমান টিকিটই কাটতে পারবেন একজন আধিকারিক। অর্থাৎ সঙ্গী বা সঙ্গীনির জন্য টিকিট কাটা চলবে না। সেই ব্যয়ভার বহন করবে না সরকার।
এছাড়াও বুকিং করতে হবে সফরের বেশ খানিকটা আগেভাগে। ভ্রমণ কর্মসূচি অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন থাকলেও টিকিট বুক করে ফেলা উচিত বলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খুব অসুবিধা না হলে তা বাতিল করাও চলবে না।
উল্লেখ্য, বর্তমানে তিনটি ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকিট বুক করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকদের জন্য। সেগুলি হল বালমার লরি অ্যান্ড কোম্পানি, অশোক ট্রাভেল ও টুরস এবং আইআরটিসি।
মন্ত্রক জানিয়েছে, জরুরি কারণে যদি অতি দ্রুত টিকিট কাটার প্রয়োজনও হয় সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সফরের ৭২ ঘণ্টা আগে বিমান যাত্রার কারণ দর্শাতে হবে। অন্যদিকে টিকিট বাতিল করা হলেও অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে কেন বাতিল করা হচ্ছে, তা জানাতে হবে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, টিকিট কাটার সময় সবচেয়ে কম মূল্যের যে বিমান টিকিট মিলবে, সেটিই কাটতে হবে।
এছাড়াও ভাঙা যাত্রার বদলে একটান যাত্রার বিমানে সফর করতে বলেছে অর্থমন্ত্রক। তবে নয়া নির্দেশিকায় এও জানানো হয়েছে, যাবতীয় টিকিট একজন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক ব্যক্তিগতভাবেও বুক করতে পারেন। কিন্তু তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
Be the first to comment