মালদা মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে রোগীর পরিজনদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জোলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্যকেও দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রেখে নানা অভিযোগ জানালেন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের আত্মীয়েরা। পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এলাকার বাসিন্দারাও। সব মিলিয়ে বুধবার সকাল থেকেই ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।
দলীয় কর্মসূচিতে বুধবার মালদা গিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সকালেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মন্ডল, মেডিক্যাল কলেজ প্রিন্সিপাল প্রতীপ কুন্ডু-সহ স্বাস্থ্য অাধিকারিকরা। হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের নানা দিক ঘুরে দেখে তিনি কথা বলেন রোগী ও তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে। মন্ত্রীর কথায়,”খুব ভালো পরিষেবা এই মাতৃমা বিভাগে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তির এই মাতৃমা তৈরি করা হয়েছে। মায়েদের একটা সুন্দর জায়গায় রেখে প্রসবের যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত।’’
এর পর মাতৃমা বিভাগ থেকে বেরিয়ে আসতেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে রোগীর পরিজনেরা। তাঁদের দাবি ছিল, পরিষেবার মান দিনে দিনেই তলানিতে এসে ঠেকছে মালদা মেডিক্যালে। চিকিৎসকদের খোঁজ মেলেনা অধিকাংশ সময়। খারাপ ব্যবহার করেন নার্সেরাও। হাসপাতালের একই বেডে দু’জন রোগীকে শুইয়ে রাখা হয়। বিক্ষোভ সামাল দিতে আসরে নামেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য।
কৌশিকবাবুর কথায়, ‘‘মালদা মেডিক্যাল কলেজে প্রতিদিনই রোগীর চাপ থাকে। তাই মাঝে মাঝে একই বেডে দু’জন রোগীকে রাখতে হয়। তা ছাড়া, এই সব সমস্যা হতেই পারে। শিশুদের বাবা-মায়েরা উত্তেজনার বশে চেঁচামেচি করেছেন।’’
এই কথা শোনার পর জেলাশাসককে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন এলাকার লোকজন। সঙ্গে যোগ দেন রোগীদের আত্মীয়েরাও। ক্ষোভের মুখে জেলাশাসক হাসপাতালের পরিষেবা উন্নয়নের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত অভিযোগ শুনেছি। রোগী ও শিশুদের নাম নোট করে নেওয়া হয়েছে। তাদের উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য বলা হবে। হাসপাতালে বেড বাড়ানোর কথাও মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।’’
Be the first to comment