কাশীপুরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিঁধলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অমিত শাহের অভিযোগের পালটা মন্ত্রী বলেন, ”এক বছর পর মিথ্যা কথার ঝুড়ি নিয়ে এসেছেন। কী করে বুঝলেন এটা রাজনৈতিক খুন? কাশীপুরের ঘটনা পরিকল্পিত নয় তো? উনি কি কোনও রাজনৈতিক জ্যোতিষী?”
একইসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ”বাংলার মতো শান্তিপ্রিয় জায়গা কোথাও আছে? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যে ভাবে শান্তিরক্ষা হয়, তা কলুষিত করার চেষ্টা চলছে। কাশীপুর কেন কোনও হিংসার সঙ্গেই তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের কালিমালিপ্ত করার জন্য জঘন্য প্রচেষ্টা চলছে। আমাদের কোর্টে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। CBI কি জুদু নাকি? বিচার ব্যবস্থা উপর আস্থা আছে। প্রত্যেক অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী লড়েছেন।”
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, ”এই সরকার পূর্বের CPIM সরকারের রেকর্ডও ছাপিয়ে গিয়েছেন। আমি জিজ্ঞাসা করছি, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের সময় কোথায় ছিলেন আপনি? CPIM-এর হাতে তামাক খাচ্ছিলেন নাকি? গুজরাট হিংসার কথা মনে পড়ছে না?”
কাশীপুরে বিজেপি যুবমোর্চা কর্মীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সমস্ত পূর্বপরিকল্পিত কর্মসূচি পরিবর্তন করেন অমিত শাহ। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যে স্থান থেকে ওই কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই জায়গা পরিদর্শন করেন তিনি। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহ বলেন, ”জঘন্যভাবে হত্যা করা হয়েছে বিজেপি যুবমোর্চার কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়াকে। গতকালই তৃতীয় তৃণমূল সরকারের একবছর সম্পূর্ণ হয়েছে। আর আজই এই চিত্র দেখা গেল। বাংলায় যেখানেই যাই রাজনৈতিক হিংসা দেখতে পাই। এখানে সর্বত্র প্রতিশোধের রাজনীতি চলছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের খুঁজে খুঁজে বের করা হচ্ছে, আর তাঁদের হত্যা করা হচ্ছে। ভারতীয় জনতা পার্টি হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসও করে না, আর ভয়ও পায় না। অর্জুন চৌরাসিয়ার ঘটনায় ন্যায়বিচার চাই আমরা। এর পিছনে যে বা যারা রয়েছে, তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
বিজেপির তরফে এদিন অভিযোগ তোলা হয়েছে, জোর করে অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ। এর পালটা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ”কলকাতা পুলিশই দেহ উদ্ধার করেছে।” এদিকে ময়নাতদন্ত স্থগিত রাখার আবেদন করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
Be the first to comment