বিএসএফ জওয়ানদের বাসে হামলা, আইইডি বিস্ফোরণে গুরুতর আহত ৬; পড়ুন বিস্তারিত!

Spread the love
ছত্তীসগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় ভোট হয়ে গিয়েছে দুদিন আগে । কিন্তু হিংসার বিরাম নেই। ভোটের ডিউটি শেষ করে বুধবার বিজাপুর থেকে বাসে চড়ে বিএসএফের সদর দফতর মহাদেবঘাটে ফিরছিলেন জওয়ানরা। বাস যখন গন্তব্যস্থল থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে, তখন রাস্তায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা । বিএসএফের চার জওয়ান, ছত্তীসগড় পুলিশের এক জওয়ান এবং এক বাইক আরোহী গুরুতর আহত হন ।
বিস্ফোরণের পরে বিএসএফ জওয়ানদের লক্ষ করে গুলিও চালায় মাওবাদীরা। জওয়ানরাও পালটা গুলি চালায়। গুলিবিনিময় থামার পরে আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে ।
গত কয়েক বছরে নিরাপত্তা বাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণের চাপে ছত্তীসগড়ে অনেকটাই পিছু হটেছে মাওবাদীরা । কিন্তু এখনও তাদের পুরোপুরি শেষ করা যায়নি । দণ্ডকারণ্যের অবুঝমাড় অঞ্চলে যাতে ভোট না করানো যায়, সেজন্য তারা যথাসাধ্য অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। গত ১২ তারিখে ছত্তীসগড়ে প্রথম দফায় ভোটের আগে মাওবাদীদের ঘটানো বিস্ফোরণে প্রাণ যায় বেশ কয়েকজনের । ভোটের দিন সকালেই আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে । দুপুর নাগাদ বিজাপুরেই কোবরা জওয়ানদের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয় মাওবাদীদের । কয়েকজন জওয়ান আহত হন। মৃত্যু হয় পাঁচ মাওবাদীর।
তার পরেও যে বিজাপুর থেকে মাওবাদীদের হটানো যায়নি, তার প্রমাণ মিলল বুধবার। সম্ভবত এদিন বিএসএফ জওয়ানরা আশাই করেননি মাওবাদীরা আক্রমণ করবে। কারণ ভোট হয়ে গিয়েছে। সম্ভবত ভোটের দিন কয়েকজনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা ।
ভোটের দিন মাওবাদীরা কয়েকটি অঞ্চলে হামলা করলেও, বেশিরভাগ এলাকায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছেন। ১২ নভেম্বর সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে মানুষের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছিলেন, আপনারা গণতন্ত্রের উৎসবে অংশ নিন । বনাঞ্চলের মানুষ সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন। দিনের শুরুতে ভোটদানের হার কম হলেও পরে বুথের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে। দিনের শেষে ভোট পড়ে প্রায় ৭০ শতাংশ । মূলত নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক প্রহরার জন্যই মাওবাদীদের ভোট বয়কটের ডাক ব্যর্থ হয়। সেই রাগেও মাওবাদীরা বুধবার বিএসএফকে আক্রমণ করে থাকতে পারে।
ছত্তীসগড়ে পরের দফায় ভোট ২০ নভেম্বর। এবার যেখানে ভোট হবে, সেখানে মাওবাদীদের প্রভাব নেই বললেই চলে। তাও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের । প্রথম দফায় ভোট বানচালে ব্যর্থ হয়ে মাওবাদীরা যে ফের দু-একটা জায়গায় গোলমালের চেষ্টা করবে না, এমন ভাবার কারণ নেই ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*