চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখলেও হতে পারে জেল। মোটকথা, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি তৈরি, দেখা বা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া আটকাতে আরও কঠোর আইন আনা হচ্ছে। হতে পারে পাঁচ বছরের জেল। অভিযোগ দায়ের হবে জামিন অযোগ্য ধারায়। একই অপরাধে দ্বিতীবার ধরা পড়লে সাতবছরের জেল সঙ্গে আর্থিক জরিমানা। ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। এখন শুধু আইনমন্ত্রকের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
সূত্রের খবর, বিশেষ করে সোশাল মিডিয়ায় চাইল্ড পর্নোগ্রাফির বাড়বাড়ন্ত আটাকাতেই পকসো আইনে আরও কঠোর করার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রক। নতুন আইনে, কারও মোবাইল, কিংবা কম্পিউটারে এধরনের ‘কনটেন্ট’ পাওয়া গেলও শাস্তির মুখে পড়তে হবে। শুধু তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এধরনের ভিডিও অনেকের কাছেই আসে। কিন্তু ব্যবহারকারী যদি সেই সম্বন্ধে রিপোর্ট না করে, সেক্ষেত্রেও জরিমানার মুখে পড়তে হবে। প্রথমবার কমপক্ষে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হতে পারে। ফের একই অপরাধ করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
তবে এই নিয়ে কিছু জটিলতাও তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেউ যদি পুলিশ বা আদালতের কাছে সাক্ষ্যপ্রমাণ দেওয়ার জন্য এসব রেখে দেন, তার কী হবে? সেক্ষেত্রে, সংশোধনীতে বলা হয়েছে, বিশেষ উদ্দেশ্যে রাখা হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই তার প্রমাণ দিতে হবে। তাহলেই ছাড় মিলবে। এই সুপারিশে পকসো আইনের ১৫ নম্বর ধারাটি নতুন করে সংশোধন করতে বলা হয়েছে।
Be the first to comment